yMZnM

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০১৫: ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে প্রকৌশলী খিজির খান হত্যার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হল তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে মিঠু ও মোঃ আলেক বেপারী। এর মধ্যে হত্যাকারী দলের নেতা মোঃ তরিকুল ইসলামকে টাঙ্গাইল জেলা থেকে এবং আলেক বেপারীকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকান্ডের সময় লুণ্ঠিত ২টি ল্যাপটপ ও ২টি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত মোঃ তরিকুল ইসলাম তারেক ওরফে মিঠু জেএমবি’র অন্যতম সংগঠক। ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলায় চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়ে ৫ বছর কারাভোগ করে। আলেক বেপারী পেশায় ড্রাইভার ও র্দূবৃত্ত দলের সহযোগী।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। তারা আরও জানায়, মতাদর্শগত কারণে তার এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

গত ০৫/১১/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.০০ টায় একদল দুস্কৃতিকারী প্রকৌশলী খিজির খান এর মধ্যবাড্ডা গুদারাঘাটস্থ জ-১০/১ নং হোল্ডিং এর ৬ তলা বাসার ৩য় তলায় কলিং বেল এর মাধ্যমে খিজির খানকে ডাকে। তিনি তাদেরকে বাসার ২য় তলায় নকশেবন্দিয়া মোজাদ্দেদীয়া তরীকতের “রহমতিয়া খানকা শরীফ” এ বসতে বলেন। র্দুবৃত্তদল দুই ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ ২য় তলায় নেমে আসে, অপর দলটি ৩য় তলায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসায় উপস্থিত সকলের হাত ও চোখ বেধে বাসার মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। লুট শেষে ২য় তলায় উপস্থিত দলটির সাথে একত্রিত হয়ে খিজির খানের হাত ও চোখ বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। এ সংক্রান্তে নিহতের ছেলে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ডিবির সংশ্লিষ্ট টিমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত হন এবং হত্যার ধরন, প্রকৃতি, ক্রাইমসিন, ইত্যাদি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করতঃ মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। অপরাধের ধরন, প্রকৃতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিশ্বস্ত গুপ্তচরের মাধ্যমে হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীদের সনাক্ত করতে সমর্থ হয় এবং আসামীদের গ্রেফতার করে।ডিসি ডিবি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, বিপিএম, পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় এডিসি মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এডিসি মোহাম্মদ শাহজাহান এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।