61993_197

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০১৫: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের আমরণ অনশন চলছে। অনশনে এ পর্যন্ত পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিতীয় দিনের মতো তারা অনশন শুরু করেন। এই কর্মসূচিতে অভিভাবকরাও রয়েছেন।এর আগে বুধবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনশন পালনের উদ্দেশেঅবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, এসি রুমে বসে আপনি আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।

একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের মানুষের জীবন-মৃত্যুকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন না। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, সাধারণ মানুষকে কোন চিকিৎসকদের হাতে তুলে দিতে চান। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে শিক্ষার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর, নাকি প্রকৃত মেধাবীদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আশরাফ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আপনি পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও আমাদের কথা শুনুন। আমাদের প্রমাণগুলো দেখুন। এবং একটি সঠিক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়গুলোর সুরাহা করুন। এ সময় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পর ২৫ দিন ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় এ আমরণ অনশন কর্মসূচি।

এসময় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে অনশনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে ও এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেছেন আন্দোলনকারীরা। মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসা হবে বলে জানানো হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হলে তা আদালত খারিজ করে দেয়।প্রসঙ্গত, গত ২৮ তারিখ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করার পরদিন থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এনে তা বাতিলের এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছে ভর্তিচ্ছু কতিপয় শিক্ষার্থী। এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের প্রায় ১৭ দিন পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।