asadujjaman

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০১৫: কুড়িগ্রামের দশিয়ার ছড়ায় মুজিব-ইন্দিরা নামে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ইন্দিরা হবে কেন? এ চুক্তি বাস্তবায়নে তার কোনো অবদান নেই। বরং এ চুক্তি বাস্তবায়নে নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদির অবদান রয়েছে।শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।রিপন বলেন, ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি- দাসিয়ারছড়ায় শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এই বক্তব্য সত্যের অপলাপ। চুক্তিটি ছিল দ্বিপাক্ষিক। বাংলাদেশ আগেই তা বাস্তবায়ন করেছিল। ভারত তা কখনই বাস্তবায়ন করেনি। দীর্ঘদিন পরে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে আইন পাস করে এটা বাস্তবায়ন করেছেন।

দাসিয়ারছড়ায় একটি ইউনিয়নকে মুজিব-ইন্দিরা নামকরণে সরকারের চিন্তার সমালোচনা করে রিপন বলেন, এটা বাস্তবভিত্তিক নয়। কারণ এই চুক্তি বাস্তবায়নে ইন্দিরা গান্ধীর কোনো ভূমিকা নেই। বরং এখানে মোদির নাম যুক্ত করলে তা বাস্তবভিত্তিক হতো।বিলুপ্ত ছিটমহলে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ছিটমহল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। সে সময় ভারতের পার্লামেন্টে চুক্তি অনুমোদন না হওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

বিএনপি মুখপাত্র বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের মানচিত্রে যুক্ত হওয়া সাবেক ছিটমহলের নবীন নাগরিকদের কাছে গিয়ে গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিংসা-বিদ্বেষের-ঘৃণার রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশের রাজনীতিতে অনেক কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি হযেছে। তরুণ প্রজন্মের মানুষ এসব কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি পছন্দ করে না।লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করছেন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিপন বলেন, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের লোকজন অসত্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করার আজগুবি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছেন। তার তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি এবং আবারও তার প্রতিবাদ করছি। সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না বলে আমরা মনে করি।এ সময় এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।