Jhenaidah Road march pic 2

দৈনিকবার্তা-মাগুরা, ১৭ অক্টোবর ২০১৫: মানিকগঞ্জের পর মাগুরায়ও পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন সুন্দরবনমুখে রোডমার্চে থাকা গণতান্ত্রিক বামমোর্চার নেতা-কর্মীরা। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে যাত্রা শুরুর পর মানিকগঞ্জে পথসভায় পুলিশি লাঠিপেটার শিকার হয়েছিল। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা মাগুরা শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় মিছিলের সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।এতে বামপন্থি এই জোটের সমন্বয়কারী সাইফুল হকও আহত হন। তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মাগুরা শহরের ঢাকা রোডে পৌঁছার পর সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, মোশারফ হোসেন নান্নুর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ের দিকে রওনা হয় রোড মার্চকারীরা।স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপালগামী বাসদের রোডমার্চ মাগুরা শহরে ঢোকে। সেখানে শহরের কিছু দূরে পথসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা না করে শহরের মেইন রাস্তা দিয়ে ঢোকে। এ সময় রোডমার্চে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের স্বাগত জানায় বাসদ (মার্কসবাদী) মাগুরা জেলার কমরেডরা।

মিছিল দুপা এগোতেই নেতাদেরকে ঘিরে ধরে পুলিশ। তাদের মিছিল করতে নিষেধ করে। এর একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় পুলিশ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মোর্চার সমন্বয়ক কমরেড সাইফুল হককে আহত করে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।এছাড়া ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিচার্জ করলে বাসদ (মার্কসবাদী) কর্মী আশাধন চাকমা, কাজী জহির উদ্দিন, আল আমিন, সাজ্জাদ, আজিজারসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর তারা শহর অতিক্রম করে চলে যায় বলে জানান।এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এক সমাবেশ শেষে এ রোডমার্চ শুরু করে। রোডমার্চ শেষ হবে আগামী ১৮ অক্টোবর।