image_87203

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ ঢাকা ২০১৫: যুক্তরাষ্ট্রের টেঙ্াসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ৪৪ জন অনশন করছেন৷যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে বহিষ্কারের নির্দেশ জারির পর গত বুধবার সকাল থেকে তারা অনশন করছেন বলে অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দেশিজ রাইজিং আপ এ্যান্ড মুভিং (ড্রাম) এর সংগঠক কাজী ফৌজিয়া৷তিনি বলেন, ন্যাশনাল লইয়ার্স গিল্ড এবং নো ওয়ান মোর ডিপোর্টেশন নামে দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে অনশরতদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে৷অনশনরত বাংলাদেশিদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান নামে একজন বলেন, তাদের মধ্যে শামসুদ্দিন নামে একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷ অন্যদের নানা লোভ দেখানো হচ্ছে অনশন ভাঙতে৷কিন্তু আমরা ডিপোর্টেশনের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং এসাইলামের আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব৷সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাহবুব ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ওই বন্দিশিবিরে আছেন৷

তিনি বলেন, আমরা সবাই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছি৷ কারও আবেদনই গ্রাহ্য করা হচ্ছে না৷ উপরন্তু আমরা যারা বিএনপির কর্মী/সংগঠক হিসেবে আবেদন করেছি, তারা সকলেই নাকি সন্ত্রাসী, এমন মন্তব্য করেছেন ইমিগ্রেশন কোর্টের জজ৷এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কের আইনজবী অশোক কর্মকার বলেন, বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা বা চিহ্নিত করার অবকাশ নেই বলে আমি মাননীয় আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে নিউ জার্সির একটি ইমিগ্রেশন কোটের্র জজ কর্তৃক সেই ভ্রান্ত ধারণার বিরুদ্ধে একটি রুলিং আদায় করতে সক্ষম হয়েছি৷ কিন্তু টেঙ্াস, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের জজরা সেই রুলিংয়ে পাত্তা দিচ্ছেন না৷মাহবুব জানান, তারা একেকজন প্রায় ২৫ লাখ টাকা দালালকে দিয়ে বিভিন্ন দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন৷অনশন ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মুখপাত্র লেটিসিয়া জামারিপা শুক্রবার বলেন, এ মুহূর্তে এল পাসো সেন্টারে অনশন চলছে বলে আমার জানা নেই৷তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাজী ফৌজিয়া বলেন, কর্তৃপক্ষ কখনোই এসব স্বীকার করেন না৷শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোররাতে) এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারের সামনে ড্রাম এবং ন্যাশনাল লইয়ার্স গিল্ডের যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানান তিনি৷