obaidul_kader_SM_1_413084149

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ অক্টোবর ২০১৫: ওবায়দুল কাদের বলেছেন দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর কয়েকটি দেশের রেড অ্যালার্ট জারি ঠিক হয়নি। এ ধরনের অ্যালার্ট বাংলাদেশের প্রতি অবিচার।শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন।ডিসিসিআইর নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.)মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠা, বেসরকারি সংস্থা সিপিডির অতিরিক্ত গবেষনা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সংগঠনের সভাপতি হোসেন খালেদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডে পর বিদেশীদের সতর্কতা জারি ঠিক হয়নি। এ ধরনের রেড অ্যালার্ট বাংলাদেশের প্রতি অবিচার।তিনি বলেন, ভারত এ বিষয়টি খুব স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। কিন্তু অন্যরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমরা এতে রেড অ্যালার্ট জারি করি না।তিনি বলেন, আমার একটা দুঃখ থেকে গেল। আর তা হলো- কাউকে সময়মতো পাওয়া যায় না। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যেখানে যা প্রয়োজন তা নখদর্পণে রাখেন। তাকেই সব সময় পাওয়া যায়।ওবায়দুল কাদের বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে সরকার চেষ্টা করছে। আঞ্চলিকহীন মানসিকতার দেয়াল ভাঙতে হবে। এজন্য ভারতকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ দেশটির সহযোগিতা ছাড়া সমঝোতার সেতু তৈরি করা সম্ভব না। তবে নেপাল বা ভুটানও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তিনি জানান, আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ শুরু হবে। এর আগে ১৪ নভেম্বর চার দেশে কার র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের ভুবনেশ্বর থেকে শুরু হয়ে প্রথমে নেপাল এরপর ভুটান হয়ে বাংলাদেশে আসবে র‌্যালি। এটি বাংলাদেশ থেকে আবার কলকাতা যাবে।এই র‌্যালির পরই জানুয়ারি থেকে চার দেশে ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। এ লক্ষ্যে চার দেশের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ পর্যন্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এক হাজার ৭৫২ কিলোমিটার সড়কে দুই লেনের রাস্তার সমীক্ষা কাজ শেষ করেছে। এ সড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে। প্রথমে জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল পরে পর্যায়ক্রমে সিলেট ও চট্টগ্রামের সড়ক।