331-660x330

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ ঢাকা ২০১৫: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) উপ-নির্বাচনে তার এবং স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী৷ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মামলা করার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণ খেলাপীর দায়ে তাদের দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন৷ এরপর গত শুক্রবার এ দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন৷ কিন্তু ইসির আপিল বিভাগ গতকাল রোববার এ দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতে শুনানি করে মনোনয়নপত্র বাতিলের রায় বহাল রাখে৷এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান আরজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার রায় বহাল রাখা হয়েছে৷

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাংক ছলনা করে’ তাঁকে ঋণখেলাপি সাব্যস্ত করেছে৷ এর মাধ্যমে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে৷ তবে তিনি প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন৷কাদের সিদ্দিকী বলেন, যেদিন আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি, তার পরদিন পর্যন্ত ব্যাংকের কাগজপত্রে ঋণখেলাপি নই৷ কিন্তু এরপরও অগ্রণী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখা ঋণখেলাপি বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি চিঠি দেয়৷ রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে সে চিঠি দেয়৷ এভাবে আমার ও আমার স্ত্রীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়৷কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত৷ প্রার্থিতা বাতিল হবে, তা জেনেশুনেই কি দল থেকে চারজনের মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন?্তসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু হতে পারে, আমাদের মনে সন্দেহ ছিল৷ এ জন্য চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি৷ সাবধানতা অবলম্বন করেই চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি৷ তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমেও যদি তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিল হয়, তারপরও তাঁর দল (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) নির্বাচনে যাবে৷ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ৷ উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷