nilfamari

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ১৯ অক্টোবর ২০১৫: মিউনিসিপ্যাল গর্ভনমেন্ট এন্ড সার্ভিস প্রজেক্টের শহর উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের ওই ব্যাংকের প্রতিনিধিরা সঠিকভাবে তদারকি না করার ফলেই উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ।অভিযোগে প্রকাশ, সৈয়দপুর শহরের রাস্তাঘাট ও ড্রেন সংস্কার করতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সৈয়দপুর পৌরসভার মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত ওই অর্থে শহরের রাস্তঘাট ও ড্রেন নির্মাণ করার কথা সঠিকভাবে। সে অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল থেকে উন্নয়ন কাজও শুরু করা হয়। কিন্ত সংস্কার কাজ যেভাবে করা দরকার সেভাবে কোন কাজই হচ্ছেনা।

সূত্র জানায়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দেয়া ১০ কোটি টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দে শহরের থ্যাংকস ক্লথ, মুক্তিযোদ্ধা রোড ও ড্রেন, শামসুল হক সড়ক হতে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের ১নং রেল ক্রসিং, শেরে বাংলা সড়কে আরসিসি ড্রেনগুলি যে নিয়মে হওয়ার কথা রয়েছে তা করা হচ্ছেনা। প্রথমতঃ ডা. শামসুল হক সড়কটি ২৬ ফিট চওড়া হওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়েছে কোন স্থানে ২০ ফিট আবার কোন স্থানে ২১ ফিট পর্যন্ত। এ সড়কে সারা বছর থাকা জলাবদ্ধতা নিরসনে ১নং ইটের খোয়া দিয়ে উঁচু করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ। যার কারণে সড়কটি সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতেই সেটি ভরে যাচ্ছে। অন্যদিকে যেসব ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে সেগুলিও করা হচ্ছে ৩নং ইট দিয়ে। অথচ ১নং ইট দিয়ে সেগুলি নির্মাণ করার কথা। ড্রেনগুলি নির্মাণে ১ কড়াই সিমেন্টের সাথে ৬ কড়াই বালু দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ১ কড়াই সিমেন্টের সাথে ৮-১২ কড়াই বালু মিশ্রণ করা হয়েছে।

এছাড়া ড্রেনের ওপরে দেয়ার জন্য স্লাবগুলো তৈরি করা হয়েছে একই নিয়মে। বয়লার মিশ্রিত পাথর পরিস্কার না করেই ১ কড়াই পাথরের সাথে ৮/১০ কড়াই বালূ দেয়া হয়েছে। ড্রেন নির্মাণের ইটগুলোও দেয়া হয়েছে ৩ নম্বরের। যা করা হয়েছে এবং হচ্ছে তা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতেই। শুধুমাত্র ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি দল চলমান শহর উন্নয়ন কাজে তদারকি না করার কারণেই বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই পকেটস্থ হচ্ছে বলে ওই সূত্রের অভিযোগ। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিনিধি দলরা যদি সৈয়দপুরের উন্নয়নের স্বার্থে সঠিকভাবে তদন্ত করেন তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সূত্রটি মন্তব্য করেন।এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিকাদার মাহবুব আলমের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপরে সাথে কথা বলতে বলেন তিনি। পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, সিডিউলে যা উল্লেখ রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ বুঝে নিবেন তিনি। বিন্দুমাত্র অনিয়মের প্রমাণাদি মিললে যা যা করার দরকার তাই করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।