Dudok1449372767

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬  ডিসেম্বর ২০১৫: পদ্মা জশলদিয়া পানিশোধনাগার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু করণীয় না থাকায়’ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে ওই অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করেছে দুদক।সম্প্রতি কমিশনের সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানকালে প্রকল্পের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। দুদকের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি বর্তমানে চলছে। এই অবস্থায় দুদক থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে প্রকল্পকাজে স্থবিরতা দেখা যেতে পারে। তাই দুদক থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।সূত্র জানায়, ঢাকা ওয়াসার পদ্মা (জশলদিয়া) পানিশোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-১) ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর একনেকের অনুমোদন পায়। এর ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩, ৫০৮ কোটি ৭৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা। মুন্সিগঞ্জে পদ্মার জশলদিয়া পয়েন্টে এই শোধনাগারটি স্থাপন করা হচ্ছে। এখান থেকে পরিশোধিত পানি কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বসানো হবে পাইপ। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ দিয়ে এই পাইপ নেওয়া হবে।

অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পটি অনুমোদনের ১৩ মাস আগে ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ঢাকা ওয়াসা চুক্তি করে। এ জন্য দরপত্র ডাকা হয়নি। ঠিকাদার চূড়ান্ত করার আগে ওয়াসার নিয়ম অনুযায়ী দর-কষাকষিও (ভেটিং) করা হয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ভেটিং না করায় কমপক্ষে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পরামর্শক নিয়োগের আগেই তড়িঘড়ি করে পাইপ আমদানির জন্য ব্যয় করা টাকার ওপর অতিরিক্ত সুদ গুনতে হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সরকারের ৫০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।