মেয়র আনিসুল

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫: আগামী বছর থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঢাকার নাগরিকদের প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনএসসি) মেয়র আনিসুল হক। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্থানীয় সরকার বিভাগ) আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসএসসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।আনিসুল হক নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী বছর থেকে আপনি না চাইলেও বাড়ির সম্মুখভাগ পরিষ্কার রাখার জন্য বাধ্য করা হবে।প্রয়োজনে আপনার বাড়ির সামনে ময়লার ডাস্টবিন ও বুলডোজার রেখে আসা হবে যোগ করেন আনিসুল হক। এ সময় তিনি নগর পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে সকল নাগরিককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সেমিনারে স্রেডা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্মানির বর্জ্য থেকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওয়ের্গ ভগনার। দুই কোটি মানুষের শহর একজন মেয়রের একার পক্ষে পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়, নগরবাসী নিজেদের জায়গা থেকে যদি সচেতন না হয় তাহলে নগর পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে না। আসুন সবাই মিলে আমাদের নগরীকে পরিষ্কার রাখি।সাঈদ খোকন বলেন, আমি ও উত্তরের মেয়র ছয় সাত মাস হল দায়িত্ব নিয়েছি। একজন শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যার মধ্যে নগরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অন্যতম, কিন্তু দুই কোটি মানুষের শহর একজন মেয়রের একার পক্ষে পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়।এ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকা আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের বর্জ্য অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমার ধারণা ছিল নগরের শিক্ষিত সমাজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন, কিন্তু এই এলাকার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যত্রতত্র ময়লা ফেলার দৃশ্য আমাকে হতাশ করেছে। এ সময় তিনি ওয়েস্ট টু পাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা সিটির নির্বাচিত প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের সময় থেকে এ বিষয়ে শুনে আসলেও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যয়বহুল এ প্রকল্প আদৌ হবে কি না এ বিষয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।