farooq chy-doinikbarta
দৈনিকবার্তা-তানোর প্রতিনিধি, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫: তানোর বিলকুমারী বিলের প্রায় ১০লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘঠেছে। অপর দিকে পুকুরের মাছ এনে প্রকাশ্য মেলায় বিক্রি করা হয়েছে। এঘটনায় মৎস্যজিবীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপর দিকে রাজশাহী জেলা আ’লীগ সভাপতি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ফারুক চৌধুরী মেলা উদ্বোধনের জন্য আসলে বিক্ষুব্ধ মৎস্যজিবীরা তার কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরলে সাংসদ মেলার পার্শে তৈরি মঞ্চে না উঠে এবং মেলা উদ্বোধনের ঘোষনা না দিয়ে মাছের মেলা ঘুরে দেখে চলে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শি ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও তানোর বিল কুমারী বিলে সরকারী ভাবে মাছ ছাড়া হয় এবং মৎস্যজীবি সমিতির সকল সদস্যরা বিল কুমারী বিলের মাছ ধরে এক সাথে ডাক বাংলো মাঠে মাছের মেলা করে করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার ভোর ৬টা থেকে মৎস্য জীবি সমিতির সদস্যদের নিয়ে বিল কুমারী বিলের মাছ ধরে বেলা ১০টায় মেলা শুরুর কথা জানিয়ে মৎস্য জীবি সমিতির পক্ষে এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু তানোর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজনে তানোর বিলকুমারী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে কৌশলে মান্দা ও চৌবাড়িয়া এলাকার ২শতাধিক লোক ভাড়া করে এনে তাদেরকে রাত ১০টার দিকে বিলে নামিয়ে অভয় আশ্রমের প্রায় ১০লাখ টাকার মাছ ধরে মোহনপুর সিমান্তর বাঁধে রাখা ট্রাকে করে কেশর হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। অপর দিকে রাতে মাছ ধরা নিষেধ করতে গেলে কুঠিপাড়া মৎস্যজীবিদের মারমুখী আচরণ করা হয়েছে। সকাল ৬টায় মৎস্যজীবিদের অনেকেই বিলে মাছ ধরতে দিয়ে এদৃশ্য দেখে তারা বিলে নামতে না পারায় বিষয়টি সমিতির সভাপতিকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে মৎস্যজীবিদেরকে বিলে নামতে নিষেধ করে দেন। এনিয়ে এলাকার মৎস্যজীবিদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্য কুঠিপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম, কাউছারসহ একাধিক মৎস্যজীবি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বছরে এক বার আমরা এই দিনটির জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করি সবাই এক সাথে আনন্দ উল্লাস করে মাছ ধরি এবং লাভবান হয়ে থাকি, এবার আমাদের আশার মুখে ছাই ঘুষে দিয়েছে সভাপতি রবিউল, তারা অভিযোগ করে আরো বলেন কুঠিপাড়ার প্রায় শতাধিক মৎস্যজিবী মাছ ধরতে বিলে নামতে পারেনী, সভাপতি তার ভাড়া করা লোক দিয়ে বিলের মাছ ধরে বাইরে পাচার করছে অথচ সে আমাদেরই সাথে ঘুরা ঘুরি করছে আর আমাদেরকে বিলে নামতে নিষেধ করছে, তারা আরো জানান বিষয়গুলো সাংসদকে জানানো হয়েছে দেখাজাক কি হয়।

এব্যাপারে তানোর বিলকুমারী মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সমিতির সভাপতি রবিউল চৌবাড়িয়া, মান্দা এলাকার কয়েকটি গ্রাম থেকে হাসুয়া বল্লমসহ লোক ভাড়া করে এনে রাত ১০টার দিকে বিলের অভয় আশ্রমের মাছ ধরে নিয়েছে, আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের মৎস্যজীবিদেরকে মারপিট করেছে, একারনে বিলের মাছ মেলায় পাওয়া যাচ্ছেনা পুকুরের মাছই মেলায় বেশী রয়েছে। এব্যাপারে বিলকুমারী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ১লাখ ১২হাজার টাকায় বিলের মাছ ছাব লীজ নিয়েছি সমিতি থেকে তাই মাছ রাতেই ধরা হয়েছে। এবিষয়ে অভিযোগ করে কোন কিছু হবেনা বলেও জানান তিনি।এব্যাপারে তানোর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কমকর্তা শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে এবিষয়ে কিছু বলার ও করার নেই জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত হয়েছি অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #