শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০১৬: পৃথিবীর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অন্যতম; যেখানে ১ দশমিক ৭ লাখ মানুষের বিশাল বাজার। অথচ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মোট রপ্তানি আয়ের মাত্র ৫ ভাগ।তাই নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান আন্তঃবাণিজ্যের সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এসএমই সম্মেলন ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)-এর যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমির হোসেন আমু বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ১.৭ বিলিয়ন মানুষের বিশাল বাজার। এককভাবে পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে এত মানুষের বসতি নেই। পৃথিবীর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে এ অঞ্চল অন্যতম। অথচ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মোট রপ্তানি আয়ের মাত্র ৫ ভাগ। পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য, অশিক্ষা, রোগ-ব্যাধি, সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদি এ অঞ্চলের উন্নয়নের পথে এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান আন্তঃবাণিজ্যের সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারি, তাহলেই আমাদের রপ্তানি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এ লক্ষ্যে আজকের ফোরাম আলোচনা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে হবে। নিজ নিজ দেশের এসএমইখাতে বিদ্যমান সম্ভাবনা ও অন্তরায়গুলো তুলে ধরতে হবে। একই সাথে সম্মিলিতভাবে কী করে এর সমাধান করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।দক্ষিণ এশিয়ায় এসএমইর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এসএমই একটি উদীয়মান শিল্পখাত। এ অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারী ক্ষমতায়ন এবং রপ্তানি আয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এটি একটি শ্রমঘন শিল্পখাত। দক্ষ কারিগর, পণ্য বৈচিত্রকরণ, মূল্য সংযোজন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ফলে এশিয়া অঞ্চলের এসএমই পণ্য গুণগতমান ও মূল্যের বিচারে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় দাপটের সাথে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাসিব এবং সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম এর চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভন সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।