Muktijodha

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬৫ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ ও চাকুরিজীবি মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের যৌথ মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি অংশ জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলে।আর বিচারপতিদের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় বিব্রত বোধ করেছে।অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে ৬৫ বছর ও বিচারপতিদের চাকরির মেয়াদ ৬৭ বছর করেছে।

কিন্তু যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযুদ্ধে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান ক্যাপ্টেন হেমায়েত।মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরির বয়স ৬৫ বছর হওয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান-মর্যাদার সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্মান-মর্যাদা জড়িত।মানববন্ধনে সংগঠনের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা এম এ মাজেদ বলেন, ২০১০ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বাড়িয়ে ৫৯ বছর করেছে, যদিও পরবর্তীতে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা একই সুবিধা লাভ করছে।এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ৬৫ করতে হবে।উচ্চ আদালতের আদেশে সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি রায়ের ধারাবাহিকতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সোমবার মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স বাড়ানোর এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলে। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে চাকরিজীবি মুক্তিযোদ্ধা ফোরামের সমন্বয়ক হেদাযেতুল বারী ও ন্যাশনাল এফ এফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দেন।