নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:  চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী একশ পঁচানব্বই বা দুইশ’ সেনা নয়, এ সংখ্যা দুই হাজার হলেও তাদের সকলের বিচারের দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে গঠিত সংগঠনটির জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি পেশ পূর্ব সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী চিহ্নিত ১৯৫ পাকিস্তানি সেনার বিচার, বাংলাদেশের জনগণের কাছে সেদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা ও আর্থিক হিসাব-নিকাশ মেটানোর কথা থাকলেও তারা সে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা যেহেতু চুক্তি ভঙ্গ করেছে, সেক্ষেত্রে তাদের বিচারে আর কোনো বাধা নেই।এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত অনুযায়ী যতোজন যুদ্ধাপরাধীর নাম আসবে, সবার বিচার করতে হবে।

ইতোমধ্যে নতুন করে আরো বেশ কিছু পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে নৌ-মন্ত্রী আরো বলেন, একশ পঁচানব্বই বা দুইশ’ চিহ্নিত পাকিস্তানি সেনা নয়, এ সংখ্যা যদি দুই হাজারও হয় তাদের সকলের বিচার করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, শহীদদের সংখ্যা, জাতির জনক, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতের বিপক্ষে যারা কথা বলবে, তাদের বিচারের জন্যও একটি আইন করার দাবি জানান তিনি।
পাকিস্তানের গা জ্বলা শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, তারা সবকিছুতেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জঙ্গিবাদীদের মদদ দিচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধে চালানো গণহত্যাকে অস্বীকারের চেষ্টা করছে।সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ইসমত কাদির গামা, ওসমান আলী, কামরুল আলম সবুজ, রোকেয়া প্রাচী, আব্দুল মালেক মিয়া, বদরুদ্দোজা নিজাম, এম ফরিদুজ্জামান খান প্রমুখ।সমাবেশ শেষে দশ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিতে মিছিল সহকারে জাতীয় সংসদের দিকে রওনা হন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।