বইমেলা

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:  মেলায় মানুষের ঢল নেমেছিল শুক্রবার। বইমেলা যেন ছুটির দিনে তার আপন রূপ ফিরে পেল।সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত মেলায় ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেককেই জোট বেঁধে আড্ডা দিতে দেখা যায়। বিক্রিবাট্টাও ছিল ভালো। মেলার এই ভিড় হাসি ফুটিয়েছে প্রকাশকদের মুখেও। অনিন্দ্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী আফজাল হোসাইন বললেন, বইমেলা এখন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার বিপুল পাঠকের সমাগম ঘটেছে। ভালো সাহিত্যের অভাবও শিশুদের বইবিমুখের অন্যতম কারণ বলে মত দেন এই অভিভাবক।রাতে বৃষ্টি হয়েছে। শান্ত প্রকৃতি।শিশুপ্রহরেও যেন বসন্তের ছোঁয়া।সে ছন্দে দুললো শিশুরাও।কথাপ্রকাশের সম্পাদক ও প্রকাশক জসিম উদদীন বলেন, এ কয়েক দিন কমবেশি মানুষ হলেও বিক্রি তেমন একটা হয়নি। আজ ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও হয়েছে ভালো।সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, এবার বৃহৎ পরিসরে মেলা হওয়ায় এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে পাঠকেরা আসছেন। আমি আশাবাদী এবারের মেলা নিয়ে। ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের উদ্যোক্তা জহিরুল আবেদিন হতাশা প্রকাশ করেন ধুলাবালি নিয়ে। বলেন, এই ধুলাতে স্টলে বসে থেকে বিক্রি করা কঠিন।

প্রথমা প্রকাশনের সামনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী জাফর আহমদ বলেন, নতুন বইয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির পুরোনো বইগুলোও পাঠকেরা খুঁজছেন।শুরুতেই লম্বা লাইন দেখে ধারণা করা যাচ্ছে রাত পর্যন্ত মেলার চেহারা কেমন হবে। সকাল-দুপুরের শিশুপ্রহর শেষে বিকেলে সবার জন্য উন্মুক্ত মেলার চিত্রে সুখবরের ইঙ্গিত পাচ্ছেন প্রকাশক-আয়োজকরা। শুক্রবার মেলার ১২তম দিনের বিকেল ৩টা। গেট খোলার আগেই জনস্রোত দেখা গেলো বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝের রাস্তাটিতে। দোয়েল চত্বর ও টিএসসির দিকের প্রবেশ পথে সারি সারি মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন। বেশ ক’টি স্টলের কর্মকর্তারা জানান, সকালে শিশুপ্রহরে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। তবে মাঝের বিরতি সময়েও ক্রেতা পেয়েছেন তারা।ইব্রাহিমপুর থেকে শিখা আক্তার ৯ বছরের কন্যা অরিনকে নিয়ে এসেছেন। জানালেন, মেয়ের পছন্দের সব ক’টি বই কিনেছেন। বারবার আসা যায় না এতদূও থেকে। তাই একদিনেই বেশ কিছু কিনলেন। পারলে শেষের দিকে আবার আসবেন।ছড়ার বই, ছবির বই, আর রূপকথা কিনেছি’- বলে অরিন।

স্মৃতি থেকে বলে, গতবছরও মেলা থেকে অনেক বই কিনেছিলাম। তখন ছোট ছিলামতো, বেশি বেশি ছবির বই কিনেছিলাম। এখন গল্পের বইও পড়ি।বাংলা একাডেমির স্টলে ভিড় লক্ষ্য করার মতো। অভিধান বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।প্রবেশ পথে যথারীতি হুইল চেয়ার নিয়ে অপেক্ষা সুইচ স্বেচ্ছাসেবকদের। জানালেন, ছুটির দিনে ভিড় বেশি, ধুলা বেশি, বিকিকিনিও বেশি। তাই এসব দিনেই হুইলচেয়ার বেশি প্রয়োজন হয়।গত শুক্রবার ও শনিবার (০৬ ফেব্র“য়ারি)- দু’দিনের অভিজ্ঞতা বলছে,শুক্রবার উপচে পড়বে ভিড়। লম্বা লাইন দেখে বোঝা যাচ্ছে সন্ধ্যা ও রাতে কেমন হবে অবস্থা।

প্রবেশ ও প্রস্থান পথগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন। প্রত্যেকের ব্যাগ খুলে দেখা হচ্ছে, ধুমপানমুক্ত এলাকা বলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাইকে। এছাড়া শিশু হারানোর খবরও কানে আসছে। যার যার সঙ্গে আসা শিশুর দিকে লক্ষ্য রাখতেও আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুক্রবারের অনুষ্ঠানগুলো সম্পর্কেও। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ছিল ‘বাংলাদেশে নজরুলচর্চা: অতীত থেকে বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতায় দিনের শুরু হয়। রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মেলায় এসেছেন মিজানুর রহমান। সঙ্গে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মায়েশা । বাবা- মেয়ে একত্রে খুঁজে খুঁজে দেখছিলেন নতুন কী বই আছে। তবে স্টলগুলো থেকে বলা হলো, সবই তো প্রায় নতুন বই! কোনটা লাগবে বলেন? আমিনুল ইসলাম কিছুই বললেন না। পাশ কেটে চলে গেলেন একটু আড়ালে।তার পিছু পিছু গিয়ে কথা বলার চেষ্টা। প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, বাচ্চাদের বইয়ে নতুনত্ব কম। নেই বললেও ভুল হবে না। স্টলে স্টলে খালি টোনাটুনি, গোপালভাঁড়, ঈশপের গল্প, সিনড্রেলা, মটু-পাতলু, রোবটসহ এই ঘরানার নানান বইয়ের অধিক্য।তাহলে বাচ্চাদের কী শেখাবেন অভিভাবকরা- উল্টো প্রশ্ন রাখেন তিনি। সঙ্গে আরও বলেন, যে বইগুলো শিশু চত্বরের বিভিন্ন স্টলে এখন বিক্রি হচ্ছে এগুলো কী নতুন কোনো চরিত্র? নাতো। সবই আগেই ছিল। তাহলে এখন নতুন কী যোগ হলো! বিভিন্ন স্টলে প্রকৃতই নতুন’ সাহিত্যের বই খুঁজছিলাম, কেউ উত্তর দিতে পারলো না।

তার মেয়ে শামীন বলেন, জাফর ইকবাল স্যারের অন্য জীবন বইটি কিনলাম। এ ধরনের বই অন্য কেউ কেন লেখে না তা আমি বুঝতে পারি না। লিখলেও কেন চোখে পড়ে না। সারা মেলা ঘুরে আমি সাধারণ পাঠক- আমি তো পেলাম না। এছাড়া যারা আরেকটু ছোট তাদের জন্য মজার গল্প- হুমায়ূন স্যারের মতো বড়দের উপন্যাসকে ছোটদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা- এমন বই চাই।চাকরিজীবী স্বপন সাহা তার দুই ছেলে-মেয়ে ঐন্দ্রিলা সঞ্চিতাকে নিয়ে মেলায় আসেন। সঙ্গে স্ত্রী লাবনী। বই কেনার বাজেট হাজার দুয়েকের মতো। কিন্তু ভালো মানের বই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করলেন। এও বলেন, বইয়ের দাম বেশ চড়া। বইয়ের মধ্যে রং লাগিয়ে পুরনো কিছু চরিত্র দাঁড় করিয়ে দিলেই যে মানুষ হুমড়ি খেয়ে কিনবে- তা ঠিক নয়।

স্বপন সাহা বলেন, শিশুসাহিত্যে কাজ হচ্ছে, কিন্তু সেটিকে পৌঁছে দিতে হবে বাচ্চাদের কাছে। তিন ধাপে সাহিত্য চাই আমরা। কেজি থেকে তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ থেকে সপ্তম আর অষ্টম থেকে মাধ্যমিক- এমন বিবেচনায় দেশীয় লেখকদের বই কিনে দিতে চাই শিশুদের। কিন্তু এবার প্রকাশিত বইপত্রের মধ্য দিয়ে সে উদ্যোগ তো দেখি না।দুই- বোন, ভাই ও সন্তানকে নিয়ে মেলায় আসেন উর্মি হোসেন। বোন ফারজানা হোসেন ও ভাই রিয়ান হোসেন। সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মুস্তাকিম। তারা জানান, গ্রন্থমেলা ঘুরলাম, তবে বাচ্চাদের জন্য শিক্ষামূলক বই নেই বললেই চলে। সিসিমপুর বের করেছে, যার মূল্য অনেক চড়া। আবার সেট আকারে না নিলে খুচরা কেনা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শিশু উপন্যাস বা গল্প, বিভিন্ন মজার মজার বিষয় নিয়ে ছোট গল্প একান্ত প্রয়োজন।এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বই, ঘুমানো বা ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের কী কী করতে হবে, স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশার শিক্ষা, বাসায় পড়তে বসার শিক্ষা বিষয় নিয়েও তো গল্প হতে পারে, মত দেন তারা। এ ধরনের গল্প অভিভাবকদের বেশ কাজে দেবে, কারণ সে গল্প পড়েই তার সন্তান শিখবে এবং তা অনুসরণ করবে। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয়ে যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেনিফার জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কেজি-টুতে পড়ুয়া ছেলে কিয়ানকে নিয়ে মেলায় এসেছি। ভালো বই খুঁজতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। শিশুদের গল্প ও পড়াশোনার আলাদা বই চাচ্ছি। একত্রে এমন বই পাওয়াটা দুষ্কর।সপরিবারে মেলায় ঘুরতে আসা সাংবাদিক মানিক মুনতাসিরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিষয়ভিত্তক বইয়ের অভাব রয়েছে। বরাবরই এ অভাবটা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া শিশুদের বইয়ে বৈচিত্র্য নেই। তবুও আমরা বাধ্য হয়ে ভিড় জমাচ্ছি মেলায়, রোজই ঘুরতে আসছি। শিশুসাহিত্যে ভালো কাজ হলে আরও আসবে মানুষ। ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নিয়ে শিশু সাহিত্যের চরম সংকটও একটি বড় বিষয়। এক্ষেত্রে লেখক-প্রকাশকদের দায়িত্ব অনেক।এ থেকে বেরিয়ে না এলে আমাদের শিশুরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে না বলে মনে করেন তিনি।মানিক মুনতাসির আরও বলেন, শুধু তাই নয়, শিশুদের বইয়ের মানও বেশ খারাপ। বাচ্চাদের জন্য হওয়া উচিত শক্ত-পোক্ত বই, যাতে ছিঁড়ে না যায়। অথচ দেখছি তার উল্টো চিত্র।বিদেশি সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে বইগুলো এখন শিশুদের নামে চালানো হচ্ছে তার অধিকাংশই আমাদের নয়, বিদেশি সংস্কৃতির। প্রশ্ন রাখেন তিনি, ধার করে আর কত দিন

বাবা-ছেলে এক পাঞ্জাবিতে। যেন বৃষ্টিস্নাত আকাশে নীলের ছটা কম হলেও জামায় তার প্রতিচ্ছবি। সেই ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কাছ থেকেই ছেলের বায়না সব স্টলের অন্তত একটি করে বই চাই তার। বাবাও আনন্দের সুরে বললেন, তোর যা যা বই পছন্দ, সব নিস। এই শুনে এবার মেয়ের অভিমান- ‘ভাইয়াকেই দিবা সব? আমি ভেতরে যাবোই না’।কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর রাজধানীর মগবাজার থেকে তার দুই ছেলে-মেয়ে ইলমান ও আরাদ্রিকাকে নিয়ে শুক্রবার) মেলায় এসেছেন। শিশুপ্রহরে ঘুরবেন-ফিরবেন, ছেলে মেয়ের বায়না অনুযায়ী কিনে দেবেন সব রকম বই।জিগাতলা থেকে খন্দকার শামীম তার ছেলে তাহসিনকে নিয়ে মেলায়। তার অপেক্ষা সকাল ১১টায় প্রবেশপথ খোলার আগে থেকেই। শুধু তিনি কেন, এমন অসংখ্য মানুষই আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। লক্ষ্য একটাই, কখন খুলবে প্রবেশদ্বার।

গ্রন্থমেলার তৃতীয় শিশুপ্রহর, গুনে গুনে আর বাকি কেবলই একটি (২৬ ফেব্র“য়ারি শেষ শিশুপ্রহর)। প্রথম দুই শিশুপ্রহরের চেয়ে ভিড়-জমায়েতটাও একটু বেশি দেখা যাচ্ছে আজ। মাসের মধ্যমে হওয়ায় হাতে আছে পয়সাকড়ি। তাই শিশুদের বায়নায় আজ কোনো ‘না’ নয়। আবদারের যে বই, যত বই- ‘না’ নেই কিছুতেই।পরীবাগ থেকে আসা জামাল হোসেন সেন্টু জানালেন, ফেব্র“য়ারির বেতন হয়ে গেছে। হাতে অর্থ থাকতেই বাচ্চাকে বই কিনে দিতে চাই।তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করলেন। বলেন, বই তো দেবোই। কিন্তু কী বই? টোনাটুনি বা রূপকথা? এসব তো আমিই আমার ছেলেবেলায় পড়ে এসেছি। এখন কেন ভালো মানের শিশু সাহিত্য হচ্ছে না, এটাই আমি বুঝি না। তাহলে সন্তানদের আমি কী শেখাবো? তারা তো এ জন্যই পাঠ্য বইয়ের বাইরে শিক্ষা পাচ্ছে না।ভালো সাহিত্যের অভাবও শিশুদের বইবিমুখের অন্যতম কারণ বলে মত দেন এই অভিভাবক।রাতে বৃষ্টি হয়েছে। শান্ত প্রকৃতি। শিশুপ্রহরেও যেন বসন্তের ছোঁয়া। সে ছন্দে দুললো শিশুরাও।

এদিকে, একাডেমি প্রাঙ্গণে আগে থেকেই উপস্থিতি শিশুদের। সংগীত প্রতিযোগিতার জন্য মূলত। অন্যদিকে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে সিসিমপুরের অনুষ্ঠান থাকায় ওপারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বর বাদেও বাংলা একাডেমিতে সোনামনিদের কলতান ভালোই কানে আসে।বই আর অনুষ্ঠানের আনন্দের পাশাপাশি কেউ কেউ মেতে ওঠে খেলায়। এক শিশুর মুখে ‘টুকি-টুকি’ শব্দ। শহীদুল্লাহ ভবনের পাশের দেয়ালের আড়ালে থাকা ছোট্ট কুকুর ছানাগুলোও এই শব্দ শুনে- একবার ফাঁক গলে মুখ বের করে, একবার মুখ লুকায়! এই দেখে জড়ো আরও কয়েকজন শিশু। কোনো কোনো শিশু তো রীতিমতো হাঁস ধরার অভিযানে নেমে গেছে! পাশে দাঁড়িয়ে বাবা-মার ‘আকুতি’- এই এই বাবু-সোনা, হাঁস কামড় দেবে তো! কে শোনে কার কথা- কারণ দিনটা যে তাদেরই।

শিশুপ্রহর হলেও গ্রন্থমেলার নিয়ম ভেঙে শিশু ছাড়াও অনেকে প্রবেশ করেছেন এ সময়। অভিভাবদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রহরটি পুরোপুরি শিশুদের হলেও বড়রাও অবাধে ঢুকছেন। এদিকে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুপ্রহর কিনা তা জানা না থাকায় চলে আসা তাদের।এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমির পর্যবেক্ষণের দাবি সচেতন অভিভাবকদের।তবে যাই হোক, শিশুদের সব বায়না পূরণের দিন আজ। তারা তো আনন্দে আত্মহারা হচ্ছেই। সোনামনিদের কাছে এই আনন্দের গুরুত্বও অনেক। হাতে হাতে বই, অনুষ্ঠান উপভোগ, খেলাধুলা আর দৌড়ে ঘাম ঝরানোর এই মজা উপভোগ কেবল শিশুপ্রহর বলেই সম্ভব।