01বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় ওই ছাত্রীর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও শরীরের ওড়না নিয়ে যায়। সোমবার কলেজের গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রী গিয়ে কলেজের কমনরুমে আশ্রয় নেয়। এসময় ওই ছাত্রীর স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে কলেজের হিসাব শাখায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে কলেজে কর্তব্যরত গোয়েন্দা(সিটিএসবি)বিভাগের সদস্যরা ওই ছাত্রী এবং তার স্বামীকে নিরাপত্তা দিয়ে কলেজ থেকে বাসায় পৌছানোর ব্যাবস্থা করে। নুসরত আক্তারের স্বামী কবির হোসেন জানান, বিএম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষেও ছাত্রী আমার স্ত্রী নুসরত আক্তার। তাকে দীর্ঘদিন ধওে বিরক্ত করছিলো কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মানিক ও অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. নোয়েল। তারা তাকে(নুসরাতকে) চাপ দিচ্ছে এক ছাত্রলীগ নেতার সাথে প্রেম করার জন্য। কিন্ত বিষয়টি বিস্তৃত হলে সে আমাকে জানায়। আিিম সোমবার আমার স্ত্রীকে নিয়ে কলেজে আসি। তখন মানিকসহ বেশকয়েকজন এলোপাথারিভাবে আমার স্ত্রীকে মারধোর করে। এসময় তার শরীর থেকে ওড়না ছিনিয়ে নেয়া হয়। একইসাথে ব্যাবহৃত সেলফোনটিও নিয়ে যায় তারা। এসময় আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে বেদম প্রহার করে। আমার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে কলেজের ছাত্রী কমনরুমে আশ্রয় নেয়। এরপর আমাকে ধাওয়া করে তারা। পরে আমি গিয়ে কলেজের হিসাব সাখায় আশ্রয় নিলে মানিক ও নোয়েল সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করে। এরপর কলেজের কর্মচারী ও সিটিএসবির কর্মরত সদস্য জাকির হোসেন আমাকে উদ্ধার করে। পরে গোয়েন্দা সয়ংস্থার সদস্যরা তাদেও বাসায় পৌছে দেয়। তিনি বলেন বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়েছে তিনি বলেছেন ব্যাবস্থা নিব। কলেজে কর্তব্যরত গোয়েন্দা শাখার সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমরা উভয়কে উদ্ধার করেছি। এরপর মোটর সাইকেলে করে বাসায় পৌছে দিয়েছি। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষসহ প্রশাসনের উপরমহলে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মানিক জানায় ওই ছাত্রীর সাথে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল ভাইর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সে উজ্জল ভাইকে এড়িয়ে চলা শুরু করেছে। উজ্জল ভাই তার কাছে বেশকিছু টাকাও পায়। আর যে মোবাইল ফোনটি নিয়েছি তা উজ্জল ভাইর দেয়। আমরা তাকে এ বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি সে যেন এমনটি না করে। তা না শোনায় তাকে ধমকানো হয়। কিন্তু তার সাথে যে এসেছে তাকে বহিরাগতভেবে আমরা মেরেছি। তবে ওই ছাত্রী নুসরত জানায়, উজ্জল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিনের ভয় দেখিয়ে আমার সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছে। আর এ জন্য আমার কাছে মানিক ও নোয়েলকে প্রায়শই পাঠাতো আমাকে ভয়ভিতী দেখাতে যেন আমি তার সাথে প্রেম করি। আমি বিবাহিত এমনটি বলার পরও আমাকে বিরক্ত করতো উজ্জলের দুই সহযোগি। তাই আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি জানাই। উজ্জল ও তার সহযোগি মানিক ও নোয়েলের কারনে আমি কলেজে আসা বন্ধ করে দেই। কিন্তু সোমবার আমি কলেজে জরুরি কাজ থাকায় আমার স্বামীকে নিয়ে কলেজে আসলে দুজনকেই মারধোর করে তারা। কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম ইমানুল হাকিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপাওে ব্যাবস্থা নেবার জন্য বলা হয়েছে।