01বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হিংসাকে আওয়ামী লীগ পরম ধর্ম বলে মনে করে। হত্যা আর রক্তের উৎসরণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতাকে সমাধিস্থ করে ফেলেছে তারা। এখন কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। হয় ধরা পড়বে নয়তো মরে যাবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়- শাসকদলের অনুগ্রহেই এদেশের মানুষকে বাঁচতে হবে।

আজ রোববার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন- ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ‘ভোটারবিহীন’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘নৌকা হচ্ছে দশ টাকা কেজি চালের প্রতীক’। আসলে নৌকা হচ্ছে- অন্যের চাল-ডাল-জমি-জিরাত, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতীক।

তিনি বলেন- যে শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রের পায়ে লোহার শিকল পড়িয়ে সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক, দখলদার, গুপ্তহত্যাকারী, শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের সাথে নিয়েছে তারা মানুষের ভোটাধিকার যে দিবে না তা বলাই বাহুল্য। দেশকে স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতান্ত্রিক শাসনের শক্ত শিকলে বেঁধে যারা উন্নয়নের কথা বলছেন – তারা মূলত: নিজেদের লুটপাটে অর্জিত অবৈধ টাকার উন্নয়ন ছাড়া দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আর কিছুই করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘গত রাতে একুশে’র প্রথম প্রহরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তার সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করতে পুলিশ ও র‌্যাব প্রধানের কাছে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গুলশান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসা পর্যন্ত পুলিশ তাকে বারবার বাধা প্রদান করে। গুলশানে তার বাসভবনের সামনেই পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। সব বাধা অতিক্রম করে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছাকাছি আসলে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অপেক্ষমান বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের বেশি বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।’

চেয়ারপারসনকে শহীদ মিনারে আসতে বাধা দেয়া ও নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।