101সকলের অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সরকারের প্রতি আবারো সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত দলটির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ আহ্বান জানান ।
খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষসহ প্রায় সবাই দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেখতে চায়। এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে কীভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আয়োজন করা যায় সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের আহ্বানে সারা দেয়নি।
তিনি বলেন, সকলে মিলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিরসন করতে পারলে আর আন্দোলনের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু, সরকার বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তারা শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেয়নি। তাই, আমরা আবারো সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করি।
বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দেয়া বিএনপির বক্তব্যে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করন  খালেদা জিয়া। বক্তব্যের শুরুতে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন ভাষা শহীদদের। ভারতসহ যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানান খালেদা।
তারপরই শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিব রহমানের নাম উচ্চারণ করে বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্মরণ করছি।’ অবশ্য তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু’ যোগ করেননি। এরপর তিনি স্মরণ করেন বীরোত্তম জিয়াউর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের।
এসময় দলের চেয়ারপারসন হিসেবে আস্থা ও অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, এ ভিশন’২০৩০ এর খসড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে। এভিশনের সঙ্গে যোজন-বিয়োজন করে  আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।  অচিরেই চূড়ান্ত করে সেটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ভিশন’২০৩০ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, জনগণই দেশের মূল মালিক। সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এ ভিশন’২০৩০ এর লক্ষ্য।‘ভিশন-২০৩০’ রূপরেখায় মানবাধিকার, সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি দূর করার অঙ্গিকার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গড়ে মাথাপিছু ৫ হাজার মার্কিন ডলারে উর্নীত করার উদ্যেগ নেয়া হবে। ‘অংশীদারিত্বমূলক সামাজিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য। বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণই সকল উন্নয়নের চাবিকাঠি।
“মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যেবোধ রক্ষা ও চর্চাই হবে আমাদের জাতীয় ঐক্য ও  প্রেরণার উৎস। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা করা দরকার তা সবকিছুই করবে বিএনপি। বিএনপি দুর্নীতির সাথে আপোষ করবে না। দুর্নীতি বন্ধ করতে ন্যায়পাল পদ কার্যকরী করার কথাও বলেন খালেদা।”
থ্রি জির মাধ্যমে একটি দুর্নীতি মুক্ত দলীয় প্রভাব হীন সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা হবে এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, থ্রি জি হচ্ছে- গুড পলিসি,গুড গভরমেন্ট এবং গুড গর্ভানেন্টস।  প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা ভারসাম্য করতে সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেন তিনি।  জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন তিনি। সকল স্তরে ব্যাপক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকারকে সুশাসনের সহায়ক পরিবেশ করে কাক্সিখত উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন খালেদা জিয়া।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, বৈধ সরকার নেই, সুশাসন নেই, ন্যায় বিচার নেই, নারীর সম্মান ও মানবাধিকার বিপন্ন, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। জাতিকে উশৃক্সখল, দিশেহারা করা হয়েছে। জাতিকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল স্তরে শৃক্সখলা ফেরাতে হবে। বিএনপির পরম গৌরবের বিষয় হচ্ছে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এনেছেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘শুধু বিএনপিই পারে ইতিবাচক এবং ভবিষ্যত রাজনীতি করতে। এটা শুধু কথার কথা না। আমরা যা করি তা বাস্তবায়ন করি। আমরা বিনামূল্যে ঘরে ঘরে চাকরির কথা বলে মিথ্যা আশ্বাস দেই না।
বিএনপি বিরোধী দলে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘জাতিকে পেছনে ঠেলে দেয়া নষ্ট রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ভবিষ্যত অন্ধকার।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিএনপি সবসময় তৎপর। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাবো। দেশের ভূখন্ডে কোনো সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী ততপরাতা মেনে নিবে না। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে।’
তিনি বলেন,  আর্থিক স্বচ্ছাতা নিশ্চিত করতে সকল সরকারী-বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। শুধু ধনীদের নয়, দরিদ্রদের মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এক দশকের মধ্যেই দেশ থেকে নিরক্ষতা দূর করা হবে। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকান করা হবে। শিক্ষা বিস্তারের জন্য আলাদা টিভি চ্যানেল খোলার প্রশ্রুতি দেন তিনি।
শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে খালেদা বলেন, মেয়েদের স্নাতক এবং ছেলেদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত অবনৈতিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়ও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার গুরুত্বের কথা বলেন তিনি। বিদেশে অবস্থানরত উচ্চ ডিগ্রীধারিদের যথাযথ সম্মান  ও কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়ে দেশের জন্য কাজ করার উৎসাহিত করা হবে।
শস্য বীমার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কৃষি আধুনিকায়কন, স্বাস্থ সেবার বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনা একই ভাবে বিএনপি আশা করে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনসহ জাতীয় ঐতিহ্যসমূহ রক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক রেল ও নৌপথের সংস্কারের কথা বলেন খালেদা জিয়া। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সততার মাধ্যমে সম্পর্ক রাখার কথা বলেন। নারী শিশু, পরিবেশ প্রভৃতি ইস্যুতে কথা বলেন খালেদা জিয়া।
 তিনি বলেছেন, দেশে ক্ষমতায় থাকা এবং না থাকা এখন বেহেস্ত ও দোজখের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা সুবিধা ভোগ করে আর যারা ক্ষমতার বাহিরে তারা শুধু নির্যাতনই পায়।
বিএনপি নেত্রী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সংলাপ চাচ্ছি না। এ দেশের দেশের মালিক জনগণ। তাদের জন্য সংলাপ চাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য কিছু দিতেই সংলাপের আহবান জানচ্ছি। সার্বিকভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংলাপ চাচ্ছি।
খালেদা জিয়া বলেন, সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার পথ নিতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আমরা কখনো ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেইনি। আমরা যা বলি বুঝে শুনে বলি আর যা বলি তা করি।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। ইতিবাচক রাজনীতির ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। মহান স্বাধীনতার মূল্যবোধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কেবল অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে ভবিষ্যৎমুখী উন্নয়নমূলক রাজনীতির ধারাও এদেশে তৈরি করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার সেই আদর্শ আমাদের পথ, এটাই আমাদের নীতি।
তিনি বলেন, বিশ্ব এখন বদলে গেছে। যে যার মতো করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মেধা ও দক্ষতা থাকা সত্বেও আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। দেশে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই এখন। জাতি হিসেবে আমাদের বর্তমান এখন সংকটে আর ভবিষ্যৎ অন্ধকার-অনিশ্চিতে। আমরা ঐক্য-শৃক্সখলা এ সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। যা হচ্ছে কেবলই যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে।
এ পরিস্থিতিতে জাতিকে দেখাতে হবে নতুন দিক-নির্দেশনা। এই কাউন্সিল সেই পথ দেখাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকতেও বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি করে এসেছে। গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে এসেছে। কিন্তু কখনো ক্ষমতাসীন দলের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, আমাদেরও শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্যাতনের মধ্যে রাখা হয়েছে। এ রকম অবস্থায় দেশ কখনো চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে দেশ ঘোর অন্ধকারে চলে যাবে।
খালেদা বলেন, এখনও বিএনপিই পারে শুধু ইতিবাচক ধারার রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে। অন্ধকার থেকে দেশকে মুক্তি দিতে, আলোতে নিতে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। আমরা সকলের মত নিয়ে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে চাই। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনাই বিএনপির লক্ষ্য। এ বিষয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। সেজন্যই ভিশন’২০৩০ পরিকল্পনা প্রণীত হচ্ছে, যা  অচিরেই ঘোষণা করা হবে।
‘দুর্নীতি দুঃশাসনের হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খালেদা জিয়া বলেন, নারী সম্্রম ও মানবাধিকার বিপন্ন। শিশুরা নিপরনের শিকার। দুর্নীতি দুশাসনের ফলে দেশের ভবিষ্যৎ অশ্চিত। এ জমাট বাধা অন্ধকার দূর করতে আমাদের এ কাউন্সিল বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে শৃক্সখলার সাথে আমরা এগুতো চাই।
বর্তমান সরকারের শাসনকে দুঃশাসন উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, জুলুম নিপীড়ন শেষ হবে। সামনে সুদিন আসছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। সুদিন আর বেশি দূরে নয়। জুলুম-দু:শাসন শেষ হবে। কালো দিন কেটে যাবে।
নতুন ধারার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলের সঙ্গে আলোচনা, চুক্তি ও সমঝোতার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক এবং সমতা ভিক্তিক দেশ গড়ার অঙ্গিকার করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার,  লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হানান শাহ , ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম,  সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ওসমান ফারুক, এম এ মান্নান, মেজর জেনারেল(অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা তৈয়মুর আলম খন্দকার, কাজী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের মধ্যে রয়েছেন, ড. কর্নেল অলি আহমেদ, সৈয়দ মোগাম্মাদ উবরাহিম বীর প্রতীক, মাওলানা আব্দুল হালিম, শফিউল আলম প্রধান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাহাদৎ হোসেন সেলিম, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুৎফর রহমান, মুফতি মোহাম্মাদ ওয়াক্কাস, খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জেবেল রহমান গানী, মহিউদ্দিন ইকরাম, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মোস্তফা জামাল হায়দারগোলাম মোস্তাফা ভূইয়া উপস্থিত রয়েছেন।
বিদেশী অতিথিদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য সিমন ডান্স জাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি সাইমুন ব্যাঞ্জক, প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ফিল বেনিওনর , বিট্রিশ এ্যম্বসিরি পলিট্যাক্যাল প্রতিনিধি এ্যাডড্রিন উপস্থিত আছেন।
এছাড়া ব্যারিস্টা রফিক-উল- হক, বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ড. একিউম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, সুকোমল বড়–য়া, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, রুহুল আমিন গাজী, মাহবুবুল্লাহ, এম এ আজিজ, এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।