onions1

নাটোরের নলডাঙ্গা হাট ইজারাদের অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে হাটের পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী ও আড়ৎদারের তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করেন ।শনিবার সকালে হাটের প্রায় ২০ টি আড়ৎদার ও শতাধিক ব্যাবসায়ীরা অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করেন।এতে উপজেলার ২৫ গ্রামের শত শত পেঁয়াজ চাষীরা হাটে বিক্রির জন্য আনা কয়েকশ টন পেঁয়াজ ব্যাপারী না থাকায় চাষীরা বিপাকে পড়ে ।

শনিবার দুপুরে সরেজমিন নলডাঙ্গার পেঁয়াজ হাটে গিয়ে দেখা যায়,ব্যাপারীরা পেঁয়াজ না কেনায় শত শত চাষী পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।রামশাকাজিপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আবুল কালাম আজাদ জানান,আমি ৮ মন পেঁয়াজ হাটে বিক্রি করতে এসে ব্যাপারি না থাকায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। আরেক চাষী বাঙালপাড়ার বাচ্চু মোল্লা জানান, ধান কাটা শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করার জন্য আনা ১০ মন পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছি আর ধান কাটা শ্রমিকদের মজুরী দিব কিভাবে তা নিয়ে দুচিন্তায় আছি।তাদের মত শত শত পেঁয়াজ চাষী এ ভাবে ফেরত গেছে।চুয়াডাঙ্গার ব্যাবসায়ী হামিদ,জালাল,মজিবর,কালাম জানান,পাশবর্তী রাজশাহীর তাহেরপুরে হাটে আমরা প্রতিবস্তা ৮-১০ টাকা হারে খাজনা পরিশোধ করি কিন্ত এখানে এত বেশি টাকা খাজনা দিয়ে আমরা পেঁয়াজ কিনবো না। নলডাঙ্গা হাটের আড়ৎদার মোস্তফা মাসুদ জানান,আগের বছরে ৬০-৭৫ কেজির প্রতিবস্তা পেঁয়াজ ১৪-১৬ টাকা খাজনা আদায় করত কিন্ত এবছর পেঁয়াজের প্রতি বস্তার খাজনা বৃদ্ধি করে ৩০-৩৫ টাকা খাজনা আদায় করছে। এতে অন্য জেলার ব্যাপারীরা পিঁয়াজ কিনতে হাটে আসছে না ।আরেক আড়ৎদার বাচ্চু জানান ,গত শুক্রবার আমরা হাট ইজারা মালিকদের সাথে বসে আমরা প্রতিবস্তা পেঁয়াজের খাজনা ২০ টাকা করে নেয়ার দাবী জানাই কিন্তু তারা প্রতিবস্তা ৩০ টাকার কম নিবেন না। এ জন্য আমরা বাধ্য হয়ে আমরা ব্যাবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। নলডাঙ্গার হাট ইজারদার ফারুক হোসেন জানান, গত বছরে সরকার অনুমোদিত প্রতিমন পেঁয়াজ ,রসুন ,আদা ,আলু ১২-১৪ টাকা নির্ধারিত ছিল কিন্ত এবছর সরকার ২৫ ভাগ দর বৃদ্ধি করে সেই হারে প্রতিমন পেঁয়াজের টোল নির্ধারিত হয়।আমরা নির্ধারিত দরে খাজনা আদায় করছি।এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শফির উদ্দিন মন্ডল জানান,সরকার অনুমোদিত নির্ধারিত প্রতিমন পেঁয়াজ,রসুন ২০ টাকা হারে খাজনা আদায় করছে।