মডেল ডা. জাকিয়া মুন-1
অবশেষে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকা থেকে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। তবে গাড়ির মালিক মডেল ডা. জাকিয়া মুন ও তার স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিন আগেই বাসা থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাড়িটি জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান। তার আগে পৃথকভাবে দু’জনের বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু দু’জনই অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান।

ড. মঈনুল জানান, কয়েক দফা চেষ্টা চালানোর পরে অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। জব্দের সময় গাড়িটিতে পূর্বের এমপি স্টিকার পাওয়া যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে- অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেয়ে স্টিকার খুলে ফেলা হয়েছে।

অন্যদিকে, অ্যাপোলো হাসপাতালে রেখে যাওয়া গাড়িটির নম্বর প্লেটও পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্বের নম্বর ছিল- ঢাকা মেট্টো শ ০০-০১৫১। পরিবর্তিত নম্বর বসানো হয়েছে- ঢাকা মেট্টো ম ৫০৩। কিন্তু হাসপাতালের পার্কিং রেজিস্টারে এন্ট্রি আছে পূর্বের নম্বরটি। পার্কিং রিসিপ্টে এটি উল্লেখ আছে। এর থেকে বোঝা যায় গাড়িটি সেই এমপি মনোগ্রামযুক্ত রেঞ্জ রোভার। যেটিকে ধাওয়া করা হয়েছিল।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট রোডের খিলক্ষেতের চার তারকা হোটেল ‘ঢাকা রিজেন্সি’তে শুল্ক গোয়েন্দার দল অভিযান চালায় রাত ১০টায়। কিন্তু অভিযানের তথ্য টের পেয়ে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় সেটির মালিক। সারা রাত তাড়া করেও হদিস মেলেনি।

শুক্রবার ও শনিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি খোঁজা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় রেঞ্জ রোভার গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়। হোটেল কর্তপক্ষকে এ জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলেও জানায় ড. মঈনুল খান। উল্লেখ্য, গাড়িটি কার্নেট সুবিধায় শুল্কমুক্ত হিসেবে আনা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটি ফেরত নেয়নি। বিলাসবহুল এ গাড়ির মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এ বিষয়ে আরো গভীর অনুসন্ধান চলছে।

এর আগে ৬ এপ্রিল মুনের বাসা থেকে কার্নেট সুবিধার অপব্যবহার করা প্রায় ৫ কোটি মূল্যের একটি পোরশে জিপ জব্দ করা হয়। গাড়িটি মডেল মুন ব্যবহার করতেন। ড. মইনুল খান জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জোবায়দা খানমের নেতৃত্বে শনিবার একটি টিম মুনের বাসায় অভিযান চালান। মুন এলিফ্যান্ট রোডের এআরসি টাওয়ারের ২/এ, ৭৪ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে পরে শুল্ক গোয়েন্দা টিম মুনের স্বামী ব্যবসায়ী মহসিনকে ধরতে গুলশান-১ এর ৩৩ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়ির বি-৫ অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালান। সেখানেও কাউকে পাওয়া যায়নি।