08-05-16-State LGRD Minister-7

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন মিল্ক ভিটার তরল দুধের প্যাকেটের আকার-আকৃতি, রং ও লোগো নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল দুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত না হয়ে মিল্ক ভিটার সঠিক লোগো দেখে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।এসময় মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাজার থেকে সংগ্রহকৃত রিয়াল মিল্ক, ফ্রেশ মিল্ক, পিউরা মিল্ক, ডেইরী ফ্রেশ, আলট্রা মিল্ক, আফতাব ফ্রেশ ও ঢাকা প্রাইম নামে প্যাকেটজাতকৃত তরল দুধ উপস্থাপন করা হয়। এসব প্যাকেট মিল্ক ভিটার প্যাকেটের অনুরূপ, যা গর্হিত ও বেআইনী কাজ।সমবায় প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার মতো মোড়ক তৈরি করে বাজারে দুধ বিক্রি করছে, এমন ১২টি কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে সরকার।

এসব কোম্পানির দুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা।সচিবালয়ে রোববার এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বাজার থেকে সংগ্রহ করা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার প্যাকেটের মতোই দেখতে সাতটি কোম্পানির দুধের প্যাকেট সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।আফতাব, ডেইরী ফ্রেশ, ঢাকা প্রাইম, মিল্ক ফ্রেশ, আল্ট্রা মিল্ক, রিয়াল মিল্ক ও পিউরা মিল্কের প্যাকেট দেখতে মিল্ক ভিটার মোড়কের মতোই। মোড়কের আকার, আয়তন ছাড়াও এতে রঙের ব্যবহারও এক।

রাঙ্গা বলেন, ১৩টি কোম্পানির প্রোডাক্ট একই ধরনের মোড়কে। মিল্ক ভিটার মতো করে (প্যাকেট তৈরি করে) তারা বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।একই ধরনের প্যাকেট তৈরি করে দুধ বিক্রির বিষয়ে র‌্যাব মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটার মতো প্যাকেট দুধ বাজারজাত করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নেব।ওইসব কোম্পানির দুধ পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই-এ পাঠানো হবে জানিয়ে রাঙ্গা বলেন, যারা ট্রেড মার্ক দেয় তাদেরও বিষয়টি জানাব। কেউ যাতে নকল দুধ তৈরি করতে না পারে আমরা সেদিকে নজর দিয়েছি।আমার ধারণা তারা (১২টি কোম্পানি) ভেজিটেবল ফ্যাট বা অন্য কিছু মিশিয়ে।মিল্ক ভিটার দুধে কোনো ‘প্রিজারভেটিভ’ থাকে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো কেমিকেল বা ভেজাল দিয়েও মিল্ক ভিটা উৎপাদন হয় না।যে প্রক্রিয়ায় মিল্ক ভিটা দুধ প্রক্রিয়াজাত করে বাংলাদেশের দু/একটি কোম্পানি বাদে অন্য কারও কাছেই এ ধরনের প্রযুক্তি নেই দাবি করে রাঙ্গা বলেন, একই ধরনের প্যাকেট ব্যবহার করে দুধ বিক্রি করলেও তাদের কাছে দুধের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের প্রযুক্তি নেই।

মিল্ক ভিটার লোগো দেখে সবাইকে দুধ কেনার অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটার উদ্দেশ্য লাভ করা নয়, পুষ্টিকর শিশুখাদ্য আমরা সরবারহ করতে চাই।মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু বলেন, একই ধরনের প্যাকেট করার জন্য আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। প্রথমে উকিল নোটিস দেব, পরে মামলা করব।বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি বাজারে চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ দুধ সরবরাহ করতে পারছে বলেনও জানান তিনি।