mirpur fight-doinikbarta

রাজধানীর মিরপুরে হরতালবিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর-১ নম্বর গোলচত্বরে এমপি আসলামুল হক ও সাবিনা আক্তার তুহিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ (৩২), যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, ছাত্রলীগ শাহ আলী থানার সভাপতি জাহির হোসেন (২৮), আওয়ামী লীগের কর্মী মনোয়ার হোসেন (৩০), আল-আমিন (২৫), ইমন (২৭), হাবিব (২৫), কোরবান আলী (২৫), আবুল কালাম (২৪), রাফি (২০), সুজন (২০), শুভ (২০), সবুর আলী (২৬), মো. ইব্রাহিম (২৭) ও শামীম (২৫)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় আতংকে আশপাশের সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

মিরপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার দুপুরে মিরপুর ১ নম্বরে এই সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর অঞ্চলের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদ ক বলেন, দুই সাংসদের সমর্থকরা সকাল থেকে মিরপুর এলাকায় হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করছিল।

বেলা ১২টার দিকে মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধাওয়া-ধাওয়িতে রূপ নেয়। এসময় উভয়পক্ষের সমর্থকদের ছররা গুলিতে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।সাংসদ আসলামুল হক ও সাবিনা আক্তার তুহিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ খারিজ করার পর তার দল জামায়াতে ইসলামী রোববার হরতালের ঘোষণা দেয়।এই হরতালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীরা নগরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল সমাবেশ করছে।