12-05-16-PM_Promod Mankin-4সদ্য প্রয়াত সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিনকে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সমাহিত করা হবে।হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেলালুজ্জামান সরকার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা জানিয়েছেন।

এদিকে প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রমোদ মানকিনের শবদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রাখা হয়।এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, হুইপবৃন্দ, বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে দলীয় হুইপ মো. সেলিম এমপি সহ সংসদ সদস্যবৃন্দ মরহুমের কফিনে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।

এরপর প্রয়াত প্রমোদ মানকিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও।এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ সর্বস্তরের জনগণ প্রার্থনায় অংশ গ্রহণ করেন।12-05-16-PM_Promod Mankin-12
উল্লেখ্য, প্রমোদ মানকিন বুধবার ভারতের মুম্বাই শহরের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ফুসফুসে ক্যান্সারজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন। হাসপাতালে তার দুই মেয়ে ও এক নাতী সঙ্গে ছিলেন।

প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি গারো ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে সামাজিক সংস্থা, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।