হরতালে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল ৪ জেএমবি

জামায়াতের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতালে রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা ঘটনাতেই দুর্গম এলাকায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে পেট্রোল বোমা ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামসহ ঢাকায় আসে ৪ জেএমবি সদস্য। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব তাদের বুধবার রাতেই কমলাপুর ও ফকিরাপুল এলাকা থেকে ধরে ফেলে বলে দাবি করেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মেজর মুফতি মাহমুদ খান।আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির ঢাকা জেলার আমীর আব্দুল বাতেন, গুলশান-বাড্ডা এলাকার সক্রিয় সদস্য মনির মোল্লা এবং অন্য দুই সদস্য গোলাম কিবরিয়া ও রোমান খান র‌্যাবকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমটাই দাবি করেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মেজর মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি জানান, আটকদের কাছ থেকে সর্বমোট ৩১টি পেট্রোল বোমা,বিস্ফোরকে ব্যবহৃত স্প্লিনটার ব্যবহৃত নাট-বল্টু, ৫টি আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এবং এক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ পাওয়া যায়।তিনি বলেন, তারা জামায়াত শিবিরের হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতা চালানোর জন্য কমলাপুর থেকে নাশকতার মূল পরিকল্পনা করেন। তবে তাদের এই পরিকল্পনার কথা আমরা আগেই যেনে গিয়ে তাদের ধরে ফেলায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেন, এই চার জেএমবি সদস্য সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে আসে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের বর্ধমানে জেএমবি বোমা হামলা চালানোর পর তা তদন্তে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা শেখ রহমতুল্লাহ ওরফে সাজিদ এবং নাঈমের নাম উঠে আসে। তখনকার আলোচিত জেএমবি নেতা নাঈমের একান্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী আব্দুল বাতেন।