bangladesh biman boeing 777-thenewscompany
দরজা খুলে পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। বিমানটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের রাজধানী মাসকট যাচ্ছিল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার ফ্লাইট ছিল এটি। বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন। মো. আহসান নামে ওই বিমানের এক যাত্রী জানান, বিমানটি উড্ডয়নের আগেই দরজা খুলে পড়ে যায়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে যাত্রা বাতিল করা হয়। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে যেতে পেরেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহ আমানত বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭-এর একটি দরজা খুলে পড়ে যায়। ফলে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করে এই বিমানেই যাত্রীদের মাসকট পাঠানো হবে। বিমানের বোয়িং ৭৭৭ মডেলের একটি বিমানের দরজা ভাঙার ঘটনায় চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের প্রধানকে।

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বোয়িং ৭৭৭-এর ক্যাপ্টেন ইসমাইল, ফার্স্ট অফিসার মলি, পুশব্যাক টেকনিশিয়ান আবদুর রউফ ও পুশকাট অপারেটর সনু মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) খান মোশাররফ হোসেন জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রাথমিকভাবে চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ মডেলের একটি বিমান আজ সকালে ওড়ার আগমুহূর্তে এর দরজা ভেঙে খুলে পড়ে। বিমানটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের রাজধানী মাসকট যাচ্ছিল।

দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরেকটি বিমান এসে ওই যাত্রীদের দুপুর ২টার দিকে মাসকট নিয়ে রওনা হয়। আর দরজা ভেঙে পড়া বিমানটি মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির।

যে কারণে ভেঙে যায় বিমানের দরজা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহ আমানত বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা  জানান, বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে লেগে ছিল। দরজা ছিল খোলা। ওই অবস্থায় পাইলট বিমান চালানো শুরু করলে বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানের দরজা ভেঙে পড়ে যায়। বোর্ডিং ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাইলট ও গ্রাউন্ড কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ  জানান, বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে বিমানের দরজা আটকে থাকার পরও বিমান চালানো শুরু করলে দরজা ভেঙে যায়। পাইলট ও গ্রাউন্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় বিমানটি যদি আকাশে উড়ত তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত।