khokon

যেসব বাড়ির মালিক ছাদে, বারান্দায়, বাসার সামনে বাগান করবে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। সোমবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মেয়র সাঈদ খোকনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র বলেন, ঢাকার প্রায় সব স্থানে ভবন নির্মাণের ফলে গাছের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও প্রচণ্ড গরম পড়ছে এবং আবহাওয়া বিরুপ আচরণ করছে। এ সমস্যা নিরসনে ডিএসসিসি’র ৫২টি ফুটপাথে গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু ডিএসসিসি’র একার পক্ষে সবুজ ঢাকা গড়া সম্ভব না। তাই বাড়ির মালিকদের বাগান করার জন্য উৎসাহিত করতে হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

অপরিকল্পিত নগর একদমই পছন্দ করি না দাবি করে মেয়র বলেন, ডিএসসিসিতে নতুন ৮টি ইউনিয়ন যুক্ত হয়েছে। ডিএসসিসি’র নাগরিকরা যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন, নতুন ৮টি ইউনিয়নের নাগরিকরাও একই সুযোগ সুবিধা পাবেন। একটি বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে নতুন ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে। কিভাবে ঢাকার ভেতরের ঘনবসতি কমিয়ে ইউনিয়নগুলোকে সম্প্রসারিত করা যায়। তার জন্য সময় প্রয়োজন। এ জন্য আমাকে একটু সময় দিন। তিনি আরও বলেন, নতুন ইউনিয়নের মধ্যে ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এখানে প্রায় সময়ই জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। তাই একটি পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার চিন্তা ভাবনা করছি।

পরিচ্ছন্ননগরী গড়তে ডিএসসিসি’র ৫ হাজার ২৪৯ জন পরিচ্ছন্নকর্মী ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত একযোগে কাজ করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্ন বছর ঘোষণা করেছি। সে লক্ষে কাজও করছি। ইতোমধ্যে ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য ফেলার বিন স্থাপনা করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ বিন স্থাপন করা হয়েছে। সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ২০১৫ সালের ১৭ মে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছে বলে দাবি করেন মেয়র।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে বিলবোর্ডমুক্ত করতে পেরেছি। এখন আর কুরুচিকর বিলবোর্ড পাওয়া যাবে না। আমরা ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপনের কাজ করছি। সড়কগুলোতে এলইডি লাইট স্থাপন করেছি। ডিএসসিসি’র বহু জায়গা অবৈধ দখলে রয়েছে স্বীকার করে মেয়র বলেন, আমাদের অনেক জায়গা এখনও অবৈধ দখলে আছে, উচ্ছেদের চেষ্টা করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপ‌স্থিত ছিলেন- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বা‌ণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি.‌জে. মো. সাইদুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপটেন র‌কিব উ‌দ্দিন ও স‌চিব খান মো. রেজাউল ক‌রিম প্রমুখ।