court

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছুরিকাঘাতে নাট্যকর্মী ফারুক কে (৪৫) খুনের ঘটনায় বাপ, ছেলে ও মা সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের স্ত্রী মোসাঃ বিলকিছ আক্তার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলো- উপজেলার কুলগঙ্গা গ্রামের আঃ বাতেন (৫০), তার স্ত্রী সাজেদা (৩৭), তাদের ছেলে শাকিল (১৯) ও তার বন্ধু স্থানীয় পোনাসারী গ্রামের দুলালের পুত্র রাকিব (২৫) ও অজ্ঞাত ৩/৪ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়, কাপাসিয়া সিংহশ্রীর কুলগঙ্গা গ্রামের আঃ বারেকের ছেলে ফারুক হোসেন ও প্রতিবেশী আঃ বাতেনের ছেলে শাকিল ব্র্যাকের পরিচালিত স্বাস্থ্য পুষ্টির জনসচেতনা মূলক নাটক প্রকল্পের বাল্য বিবাহ ও মাদক বিরোধী নাটকে অভিনয় করে। অভিনয়ের টাকা ভাগ ভাটোয়ারা ও নাটকের চরিত্র নিয়ে তাদের মধ্যে মন মালিন্য ও একাধিক বার কথা কাটাকাটি হয়। যার প্রেক্ষিতে শাকিলকে নাটক থেকে বাদ দেয় ফারুকসহ অন্য কর্মীরা। এর জের ধরেই এ হত্যাকান্ড ঘটে।

নিহতের নিহতের বাবা আবদুল বারেক ও পুলিশ জানায়, কাপাসিয়ার কুলগঙ্গা গ্রামের আঃ বারেক ও তার ছেলে ফারুক হোসেন (৪০) একই গ্রামে আঃ বাতেন ও তার ছেলে শাকিল ব্র্যাক পরিচালিত বাল্য বিবাহ বিরোধী নাটকে অভিনয় করে। অভিনয়ের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিণ্য চলছিল। শনিবার উপজেলার বরবের গ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও মাদক বিরোধী একটি নাটিকা পরিবেশন করে। নাটক পরিবেশন শেষে রাতে ফারুক বাড়ীর পাশে সিংহশ্রী বটতল চৌরাস্তা মোড় বাজারের মোহসিনের দোকানে বসে অন্য নাট্যকর্মী কাদির ও মতিনকে নিয়ে চা পান করছিল। এ সময় প্রতিবেশী নাট্যকর্মী আঃ বাতেন (৪৫) ও তার ছেলে শাকিল (১৮) সেখানে থেকে ফারুককে পাশর্^বর্তী রাস্তার পাশে ডেকে নিয়ে যায় এবং এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। আহত ফারুকের চিৎকারে ঘটনাস্থলে এসে ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা বারেককেও ছুরিকাঘাত করে। এতে ফারুকের বাবা বারেক আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত ফারুককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মহদেহ হস্তান্তরের পর রবিবার বিকালে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ফারুকের লাশ দাফন করা হয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আলোচিত নাট্যকর্মী খুনের সাথে সংশিষ্ট এজাহার নামীয় সকল আসামিকে ধরতে পুলিশের সকল প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।