SAMSUNG CAMERA PICTURESস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি বলেন, কারাগার বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কারা বিভাগের জনবল সংকট নিরসনে শীঘ্রই নতুন তিন হাজার ১০৭ জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এ নিয়োগের অনুমোদন প্রক্রিয়া চ’ড়ান্ত পর্যায়ে। আমি আশাকরি অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হবে। কারানিরাপত্তায় আধুনিকায়নে বিভিন্ন সরঞ্জমাদি ক্রয়ে সম্প্রতি ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আগামি অর্থ বছরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি কারারক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অপরাধমুক্ত সমাজ গঠন আমাদের সকলের প্রত্যাশা। কারাভ্যন্তর হতে জঙ্গী ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনরূপ সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান, শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রতিরোধ করবেন। আধুনিক কারাব্যবস্থাপনায় একটি চৌকষ কারারক্ষীদল অপরিহার্য। আমি বিশ্বাস করি, মৌলিক প্রশিক্ষণশেষে একটি চৌকষ বাহিনী হিসেবে প্রশিক্ষণলদ্ধ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেআপনাদের উপর অর্পিত গুরুদায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। শান্তি শৃঙ্খলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে তৎপর বিভিন্ন গোষ্ঠীকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কারাগারের প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত ৪৮তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানস্থলে পৌছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থী কারারক্ষীদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

এর আগে মন্ত্রী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ কারাবন্দি পূনর্বাসন প্রশিক্ষণ স্কুলে আধুনিক আসবাবপত্র তৈরির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ৪৮তম কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে ১৭৫জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১৭১জন পুরুষ কারারক্ষী ও ৪জন নারী কারারক্ষী রয়েছেন। ২০১৫ সালের ১৩ডিসেম্বর ২৪সপ্তাহ ব্যাপী ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা, মানবতা, সংশোধন ও পুনর্বাসন এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’ ভিশন বাস্তবায়ন করতে কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহনের মেয়াদ ৩মাস হতে ৬ মাসে বৃদ্ধি করে প্রথমবারের মতো ৪৮ তম ব্যাচকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্নকারীদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ পাঁচজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।