ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাউল করিমের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন প্রকল্পের ভবন নির্মাণকাজে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেজবাউল করিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার এসব মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগ মামলা অনুমোদনের বিষয় নিশ্চিত করে বলেছে, শিগগিরই উপপরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার মামলাগুলো করবেন। দুদকের আরেকটি মামলায় ১৩ জুন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন মেজবাউল। রাজধানীর দয়াগঞ্জে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) সুইপার কলোনি নির্মাণে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে মেজবাউলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ওই দিন।

মেজবাউল করিম ছাড়া আর যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন ডিসিসির (অঞ্চল-১) সহকারী প্রকৌশলী (বর্তমানে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান) মো. মজিবুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী (বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী, পরিবেশ সার্কেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) নির্মল চন্দ্র দে। ডিসিসির সহকারী প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আবদুস সালাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিক উল্লাহ মৃধা, মেসার্স বিক্রমপুর ট্রেডিং হাউসের মালিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নাজমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মো. ইকবাল হোসেন, মেসার্স এম এম জাহিদ হোসেনের মালিক হাজি এম এম জাহিদ হোসেন। এঁদের মধ্যে মেজবাউল করিম ও মজিবুর রহমানকে তিনটি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ডিসিসির সূত্রাপুর প্রকল্পের ‘ক’ ভবনের নির্মাণকাজে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০২ টাকা, একই প্রকল্পের ‘ক’ ও ‘খ’ ভবনের কাজে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ২৯৩ টাকা এবং সিটি করপোরেশনের ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ভবনের নির্মাণকাজে ৩ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকাসহ মোট ৫ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার ২৭৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।