World's First 1,000-Processor Chip
বিশ্বের প্রথম ১০০০টি প্রসেসরযুক্ত চিপ গড়ে নজির তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এটি প্রতি সেকেন্ডে ১.৭৮ ট্রিলিয়ন নির্দেশ পালন করতে পারবে। নতুন এই চিপটির নাম রাখা হয়েছে কিলোকোর। বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি ৬২১ মিলিয়ন ট্রানজিস্টরযুক্ত।

‘আমরা যত দূর জানি, এটাই বিশ্বের প্রথম ১০০০টি প্রসেসরযুক্ত চিপ। শুধু তাই নয়, এটির সঙ্গেই প্রথম যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ক্লক রেটওয়ালা প্রসেসর যা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে’, জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক বেভান বাস। তাঁর নেতৃত্বেই এই চিপ তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ না করলেই নয়, এর আগে যে সব মাল্টিপল প্রসেসর চিপ তৈরি হয়েছে, তারা কেউই ৩০০টি প্রসেসরের সীমা পেরোতে পারেনি। এই সব চিপগুলোর বেশির ভাগই তৈরি হয়েছিল কোনও না কোনও গবেষণার স্বার্থে। কিছু অবশ্য বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রিও হয়েছিল বাজারে।

তা, এর আগে যেসব মাল্টিপল প্রসেসর চিপ তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর চেয়ে এটা আলাদা কোথায়? শুধু সংখ্যার দিক থেকেই নয়, এর প্রত্যেকটি প্রসেসর কোর অন্যের উপর নির্ভর না করে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, প্রত্যেকটিই কাজ করতে পারে একই সময়ে, পরস্পরের সমান্তরালে। এছাড়া যেহেতু প্রত্যেকটি প্রসেসরেরই আলাদা আলাদা ভাবে সময় বাঁধা, সেই জন্য দরকারমতো যে কোনও একটা বা অনেকগুলোকে শাট ডাউনও করে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, দরকার মতো একটার থেকে অন্যটায় ডেটা ট্রান্সফারও করা যাবে সহজেই।

বলাই বাহুল্য, আবিষ্কৃত এই চিপটির গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে থামার নামই নিচ্ছেন না ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যে কোনও আধুনিক ল্যাপটপ প্রসেসরের চেয়ে এই চিপটির ১০০০টি প্রসেসরের প্রত্যেকটিই ১০০ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। ওয়্যারলেস কোডিং/ডিকোডিং, ভিডিও প্রসেসিং, এনক্রিপশন, ডেটা অ্যাপ্লিকেশন এবং ডেটা সেন্টার রেকর্ড প্রসেসিংয়ের মতো নানা অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপ করা রয়েছে চিপটিতে। চিপটির প্রোগ্রামিংয়ের জন্য অটোমেটিক প্রোগ্রামিং ম্যাপিং টুলও ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা।