30-06-16-PM_Parliament-11

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের থেকে স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক উদ্বোধন নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২ জুলাই (শনিবার) এই দু’টি জাতীয় মহাসড়ক উদ্বোধন করবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি এবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার। এবার ঈদের ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের যে কোন সময়ের থেকে স্বস্তিদায়ক হবে। এবারে রাস্তা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ভালো রাস্তার কারণে যানজটের আশঙ্কা কমে যাবে।

ভিআইপিদের কারণে ঈদের সময় যানজটের সৃষ্টি হয় বলে এ সময় উল্লেখ করেন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন,ভিআইপিরা যখন ঈদের সময় রং সাইড দিয়ে চলেন তখন খুব সমস্যা হয়। তখন আমরা আর যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এ জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো, যে কেউ যতো বড় নেতাই হোক, যতো প্রভাবশালী মন্ত্রীই হোক, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, জন স্বার্থে রাইট সাইডের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আমি তো রং সাইড দিয়ে চলি না।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক চালু হলে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের উদ্বোধনের পর দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেইট পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া এবং আসা যাবে।জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চারলেন চালু হলে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে উৎপাদিত শিল্প ও কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে সহজেই পরিবহন করা যাবে। মহাসড়ক দুটি চারলেনে উন্নীত হলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমে যাবে, পরিবহন ব্যয়ও কমে যাবে বলে জানান পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

এদিকে, ২০২০ সালের মধ্যে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। দুপুর দেড়টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে ২০১৪ সালের ৯ জুন বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে এটি জি-টু-জি ভিত্তিতে নির্মাণে চীনা প্রতিষ্ঠাতা চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) সাথে ২০১৫ সালের ৩০ জুন বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেতুমন্ত্রী জানান, গত ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। বর্তমানে ডিজাইন প্রণয়ন এবং ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলছে।

চীন সরকারের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শিগগিরই এ টানেলের নির্মাণকাজ শুরু করে ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।