ককটেল বিস্ফোরণ

গাজীপুরে কাপাসিয়ায় আমরাইদের এক স্কুলে বৃহস্পতিবার পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জঙ্গি সংগঠনের নামে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপজেলা ও থানা ধ্বংস করার সর্তক বার্তা দিয়ে চিঠি দেয়ার দু’দিন পরের এঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ এঘটনায় আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় আমরাইদ এলাকার এ স্কুলের ক্লাশ শুরু হওয়ার কথা। এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে অবস্থান করছিল। ক্লাশ শুরু হওয়ার ৫মিনিট আগে দশম শ্রেণীর বারান্দায় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের কারনে ওই এলাকা ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। আতংকিত অনেকে স্কুলের পাশের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনাস্থলে কয়েক শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে যান। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আলামত সংগ্রহ করে। এঘটনায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় পৌণে এক ঘন্টা পর ক্লাশ শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। ফলে দুপুরে ক্লাশ ছুটি দেয়া হয়। এঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ স্থানীয়দের মাঝে আতংক দেখা দেয়।

কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, স্কুলের বারান্দায় স্কচটেপ পেঁচানো কাগজের তৈরী একটি ছোট পটকা বিস্ফোরিত হয়েছে। কারা এটি ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে এঘটনায় আতংক না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ স্থানীয়দের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলণ কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলার আইন শৃঙ্খলার সভায় অবহিত করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

উলেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) কাপাসিয়া উপজেলা ও থানা ধ্বংস করার হুমকির সতর্ক বার্তা দিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ডাকযোগে চিঠি দেয় একটি জঙ্গি সংগঠন। চিঠি দেয়ার এঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।