জুনাইদ আহমদ পলক

জঙ্গিদের প্রযুক্তি ব্যবহার রোধে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর (পদ্ধতি) প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পলক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গুলশানের মতো জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলে কার কী দায়িত্ব হবে সে ধরনের প্রযুক্তি সক্ষমতা নিশ্চিত করা হচ্ছে এ পদ্ধতিতে।

এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। এধরনের হামলার আগে কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল না। যারা জিম্মি ছিলেন আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর এবং তাদের স্বজনদের যোগাযোগের প্রয়োজন ছিল। যদি আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী আগেই বিটিআরসিকে জানাতো তবে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো। তবে ভেতরে আটকে পড়াদের বাইরে যোগাযোগ করা দুরুহ হতো। সেখানে মোবাইল যোগাযোগের পাশাপাশি ওয়াইফাই সংযোগও ছিল। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী জানানোর পর মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ওয়াইফাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে ব্রাসেলস, ইস্তাম্বুলসহ যে ক’টি হত্যাকাণ্ড আমরা দেখেছি খুব কম সময়ের মধ্যে এটি মোকাবেলা করা হয়েছে। এজন্য আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য প্রযুক্তির সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হয়েছে। এ অভিজ্ঞতা থেকে আগামী দিনের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর (পদ্ধতি) প্রস্তুত করা হচ্ছে।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সামাজিক ভাবে সচেতন করা সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকার দেশে ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের নিদিষ্ট সাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি কেউ অপপ্রচার চালায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।