কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের ছবি প্রকাশরাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত ‘তাজ মঞ্জিলে’ পুলিশ-র‌্যাব ও ডিবির যৌথ অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে তিন জনের সম্ভাব্য পরিচয় মিলেছে। প্রাথমিকভাবে তিনজনের নাম ‘হাসান জুবায়ের’, ‘সাব্বিরুল হক’ ও ‘সেজাত রউফ ওরফে অর্ক’ বলে জানা যায়। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, নিহত হাসান জুবায়েরের বাড়ি নোয়াখালীর পশ্চিম মাইজদীর এলাকায়। তার বাবার নাম মো. আব্দুল কাউয়ূম। অপরদিকে, নিহত সাব্বিরুল হকের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম আজিজুল হক। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার ফুলগাজী পাড়ার বুরুং ছড়া এলাকায় তার বাড়ি।

আর সেজাত রউফের বাড়ি রাজধানীর বারিধারা এলাকায়। তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম তৌহিদ রউফ। নিহত রউফও নিখোঁজ ছিলেন। ভাটারা থানায় নিখোঁজের একটি জিডিও করে তার পরিবার। জিডির নম্বর-৩৯২।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সাব্বিরুল হক ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি গত ছয়মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এর আগে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নোয়াখলী ও চট্টগ্রামের স্থানীয় পুলিশের কাছে শুনেছি। তাদের পরিবার দাবি করেছে নিহত দু’জন তাদের সন্তান। এজন্য তাদের বাবা-মাকে ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাবা-মা ও নিহত দু’জনের ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

নিহত জঙ্গি হাসান জুবায়েরের বাবা মো. আব্দুল কাউয়ূমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে  তিনি বলেন, ‘পরিচয় শনাক্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয় থেকে আমাকে ঢাকায় যেতে বলা হয়েছে। সেখানে গিয়ে আমি আমার ছেলের পরিচয় শনাক্ত করবো। তারপর সঠিকভাবে বলতে পারবো, সে আমার ছেলে কিনা। এজন্য আমি এখন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি।’