তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় ব্যয় ১০ হাজার কোটি ডলার

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়িপ এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় ১০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।শুল্ক ও বাণিজ্য মন্ত্রী বুলেন্ট টুফেনকির উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার হুরিয়াত পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানে প্রচুর ব্যয় হয়েছে।মন্ত্রী অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার রাতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, অস্ত্র, বোমা, ভবন : মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। আমার ধারণা আরও বেশিও হতে পারে।তিনি বলেন, অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সময় তুরস্ককে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের মত মনে হয়েছে।

অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে কিছু বিদেশী অর্ডার বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়কে ট্যাংক মোতায়েন ও পার্লামেন্টে বোমা মারার ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা আসছেন না।টুফেনকি বলেন, এসব সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তুরস্ক সক্ষম হয়েছে।তিনি বলেন, অন্যসব দেশে অভ্যুত্থান হলে এক সপ্তাহের আগে মার্কেট খোলে না। অথচ তুরস্কে ১৫ জুলাই শুক্রবার অভ্যুত্থান হয় এবং এরপর মার্কেটগুলো স্বাভাবিকের মতোই খোলে।তিনি বলেন, ‘সুদের হার ব্যাপকভাবে বাড়েনি। পুঁজিবাজারের ক্ষতি সামান্য হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বা রপ্তানির শর্ত সংশোধনের প্রয়োজন পড়েনি। জাতি সুদৃঢ় আছে।

এদিকে, তুরস্ক মঙ্গলবার আঙ্কারার প্রধান সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ১০০ স্টাফের নামে গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারি করেছে।জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয় গত মাসের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের তদন্তের অংশ হিসেবে এসব গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি জানায়, পুলিশ রাজধানীর গুলহানে মিলিটারি মেডিকেল অ্যাকাডেমি (জিএটিএ)’র তল্লাশি চালাচ্ছে।সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।