শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন,শিল্পমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলোর এক ছটাক জায়গাও লিজ কিংবা বিক্রি করা হবে না।তিনি বলেন, এসব খালি জায়গায় নতুন করে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সকল কলকারখানা জাতীয়করণের মাধ্যমে জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করলেও পরবর্তীতে অন্যান্য সরকারের আমলে গোষ্ঠিস্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।শিল্পমন্ত্রী মঙ্গলবার ইপিআই কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ের ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ প্রতিষ্ঠান এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড সংযোজিত ৫৬২টি মোটরবাইক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। টঙ্গীর এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, এটলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কাশেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশকে দ্রুত শিল্পায়িত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিদেশী বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ বিরাজ করায় ইউরোপসহ উন্নত দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাশা মেটাতে সরকার নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।

তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার সাভারে কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগারসহ আধুনিক চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তুলছে। সরকার যে কোনো মূল্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারী স্থানান্তরে সক্ষম হবে। এর ফলে রাজধানীবাসী পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তি পাবার পাশাপাশি ট্যানারী মালিকরা পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে লাভবান হবেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। স্বাস্থ্য সেবার জোরদারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জন্য যানবাহন এবং রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে। জনগণের অর্থে কেনা মোটরবাইক জনগণের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য তিনি ইপিআই কর্মীদের নির্দেশ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাদানের পাশাপাশি পরিবারের কেউ নিখোঁজ রয়েছে কী-না, সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কেউ নিখোঁজ থাকলে কিংবা জঙ্গি দলে সম্পৃক্ত হবার সন্দেহ হলে তার সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের খবর দিতে হবে।তিনি ধর্মের নামে যারা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করে বিপদগামী করার অপচেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহবান জানান।পরে শিল্পমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ইপিআই কর্মীদের হাতে মোটরবাইকের চাবি তুলে দেন।