%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%8f%e0%a6%96%e0%a6%a8অনন্য এক কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান। প্রাপ্তির খাতায় এমনই এক অর্জন যোগ করলেন, যা বিশ্বের আর কোনও বোলারের নেই। শাবির নুরির উইকেট তুলে নিয়ে ওয়ানেডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকার শীর্ষে বসেছেন তিনি আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তাতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারে পরিণত হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। কীর্তিটা আরও উঁচুতে নিয়ে গেছেন তিনি টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি একমাত্র বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

শুধু বাংলাদেশের হয়ে নয়, বিশ্বের সব বোলারকে পেছনে ফেলে তাই তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন তিনিই। বিশ্বের আর কোনও বোলার নেই, যিনি তার দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। যদিও কিংবদন্তী অনেক বোলার টি-টোয়েন্টি খেলারই সুযোগ পাননি। তার আগেই অবসরে গেছেন তারা। ২০০৪ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালু হওয়ার আগেই মূলত ওয়াসিম আকরাম-কোর্টনি ওয়ালশের মতো খেলোয়াড়রা অবসের যান।

রবিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে নামার আগে তার প্রয়োজন ছিলো দুটি উইকেট। রবিবার অষ্টম ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। সাকিব অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিদান দিয়ে দিলেন। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাককে (২০৭) ছুঁতে সাকিবের প্রয়োজন ছিলো একটি মাত্র উইকেট। প্রথমে নুরিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকে ছুঁয়ে ফেলেন বিশ্বসেরা এই অললাউন্ডার। তাতেই তিনি রাজ্জাকের পাশে বসে হয়ে যায় ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার। যদিও গড়ে এগিয়ে আছেন সাকিবই। রাজ্জাক ২৯.২৯ গড়ে নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। অন্যদিকে সাকিব ২৭.৭৭ গড়ে নিয়েছেন ২০৭ উইকেট।

সাকিব বেশ আগেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন। টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ১৪৭টি। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সেই সাকিবই। ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৬৫টি।