%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%83-%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81

সড়ক নিরাপত্তা, সড়ক ও মহাসড়কের ক্ষয়ক্ষতি রোধ তথা জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাস, ট্রাক ও কভার্ডভ্যান এর এ্যাঙ্গেল ও অননুমোদিত বাম্পার মালিকগণ স্বস্ব দায়িত্বে অপসারণ করবেন। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর কারিগরি নির্দেশনার ব্যতয় ঘটিয়ে যে সকল বাস, ট্রাক ও কভার্ডভ্যানের আকার-আকৃতি পরিবর্তন বা বর্ধিত করবে, তা আর রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে বিআরটিএ-কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এঁর সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুস্তম আলী খান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বক্স দুদুসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, কিছুঅসৎ ব্যবসায়ী কর্তৃক পোড়া মবিল রিফাইন করে গণপরিবহনে ব্যবহার করছে। এসব বন্ধ করা হবে। কেননা এসব মবিল ব্যবহারে গাড়ির ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল কমে গিয়ে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া আমাদানিকৃত গাড়ির টায়ার সঠিক মানদন্ডের কিনা তা বিএসটিআই এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। এসব ব্যাপারে কোন অনিয়ম বরদাশ্ত করা হবে না।

সভায় জানানো হয়, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিআরটিএ বিনির্দেশ ব্যতয় ঘটিয়ে কিছু কিছু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান এর আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করেছে; এগুলো সড়ক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরণের যানবাহনে অতিরিক্ত পণ্য-সামগ্রী পরিবহনে মহাসড়কের পাশাপাশি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ ও সুপারিশমালা প্রণয়নে ২৪ মার্চ, ২০১৬ তারিখে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর নেতৃত্বে ১১(এগার) সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিটি ইতোমধ্যে পরিবহন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে এক কর্মশালার আয়োজন করে। এ কর্মশালার সুপারিশমালা আজ বৈঠকে আলোচিত হয়। এসব সুপারিশমালা শিগগিরই সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।সভায় অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুল হক স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রস্তুতকারী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান এবং বাংলাদেশে মালবাহী গাড়ির আকার পরিবর্তন করায় সংঘঠিত দূর্ঘটনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।