1901239_1003928979632651_7468668901989868079_n

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্যদিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা’। ইতোমধ্যে সারাদেশের সকল পূজামন্ডপের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।শুক্রবার দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ঢাকের ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে সারা দেশের পূজামন্ডপ। বছর ঘুরে দেবীর আগমনিবার্তায় উৎসবের আমেজ এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে।গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। আর কাল মহাষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব।বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্তলোকে (পৃথিবী) আসবেন। আর দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩২৪টি বেশি। আর রাজধানী ঢাকায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে ২২৯টি মন্ডপে।এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা সাজ-সজ্জার কাজ। উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্য। টহলে থাকবে র‌্যাব।দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে চলছে এখন উৎসবের আমেজ। প্রতিমা ও মন্ডপ ঘিরে সাজ সজ্জা প্রায় সম্পন্ন। সাজানো হয়েছে বাহারি রংয়ের আলোকসজ্জায়। রং-তুলি দিয়ে প্রতিমার গায়ে শেষবারের মতো তুলির আঁচড় দিচ্ছেন নির্মাণ শিল্পীরা। এর পরেই মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমাকে আসনে বসানো হবে। চলবে পূজার্চনা আর আরাধনা।

শুক্রবার ৭ অক্টোবর সায়ংকালে দেবীর বোধন ও মহাষষ্ঠী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ৮ তারিখ নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা। ৯ তারিখ মহাষ্টমী। কুমারী পূজা, সন্ধিপূজা। ১০ তারিখ মহানবমী পূজা এবং ১১ অক্টোবর দেবীর বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।রাজধানীর ঢাকার বেশ কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে শারদীয় দুর্গাৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ের। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের দুর্গোৎসবকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্র¯‘তি। মন্দিরের সামনের মাঠজুড়ে প্যান্ডেল স্থাপন ও মন্দিরের সাজসজ্জার কাজও চলছে।প্রতিমার সৌন্দর্য্য, মন্ডপের চাকচিক্য নিয়ে বিভিন্ন পূজামন্ডপের মধ্যে চলছে নীরব প্রতিযোগিতা। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি শুরু হয়েছে চোখ ধাঁধানো পূজামন্ডপের মঞ্চ তৈরি ও নানা পরিকল্পনার কাজ। মন্ডপ পরিচ্ছন্ন করার কাজও চলছে। মন্দির প্রাঙ্গণকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে মন্দিরগুলোতেও চলছে ঘষামাজা ও রঙের কাজ।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল জানান, শারদীয় দূর্গাপুজা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, গোটা বাঙালিরই সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসব সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো এবারও প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

Image Courtesy : এইচ এম কনক