পুরান ঢাকার হোসনি দালান এলাকা থেকে ১৪ জন পাইককে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি তাজিয়া মিছিল থেকে এদের আটক করে চক বাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।তাজিয়া মিছিলে অংশ নিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে মাতমকারীরা পাইক বলে পরিচিত। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীমুর রশিদ তালুকদার বলেন, বিকেলে হোসনি দালানের ইমামবাড়ার সামনের সড়কে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে মিছিল চলছিল। এ সময় এই ১৩ জন পাইককে আটক করা হয়। এরা মিছিল চলাকালে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে আশপাশের লোকজনের মানুষজনের মোবাইল ফোন সেট, ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিস ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে আটক পাইকদের কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
ওসি শামীমুর রশিদ তালুকদার বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ধারাল অস্ত্র বহন করায় মঙ্গলবার বিকালে তাদের আটক করা হয়েছে বলে চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশিদ তালুকদার জানিয়েছেন।কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনা স্মরণ করে মহররমের তাজিয়া মিছিলে হায় হোসেন মাতম তুলে যারা দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি নিয়ে নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করে তাদের পাইক বলা হয়।গত বছর তাজিয়া মিছিলের আগে হোসাইনী দালানের ইমাম বাড়ায় বোমা হামলায় দুজন নিহত হওয়ার কারণে এবার কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ।এবার তাজিয়া মিছিলে ধারাল অস্ত্র কিংবা লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ; তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি বহন করেছিলেন অনেকে।ওসি শামীমুর বলেন, ইমামবাড়ার সামনের রাস্তায় বিকাল বেলা কয়েকজন পাইক দল বেঁধে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ বলে চিৎকার করছিল।এরাই মানুষজনের ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এবছর পাইকদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১৪ জনের মতো পাইককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।ইমামবাড়া তাজিয়া মিছিল সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মীর জুলফিকার আলী বলেন, পাইকদের এবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও তারা রাস্তায় নেমেছিল এবং উচ্ছৃঙ্খলা করছিল।পুলিশ ওদের আটক করলেও পরে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি।বাংলাদেশে বুধবার আশুরা পালন করা হবে। শিয়া সম্প্রদায় ঘটা করে দিনটি পালন করে থাকে। আশুরার আগে কয়েক দিন ধরে পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিল বের হয়।