kader_244325আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করা হতে পরে- এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবে’৷শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থলে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি’র সংক্ষিপ্ত সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মনত্মব্য করেন৷ নেতা-কর্মীদের সম্মেলন সংক্রানত্ম নির্দেশনা দিতে এ সভার আয়োজন করা হয়৷

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সম্মেলনের শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে৷ সম্মেলনের নিরাপত্তায় মোট ২ হাজার ২শ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে৷উপ-কমিটির সদস্যসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা কেবল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন না- সারাদেশ থেকে আসা অতিথিদের স্টেশনে স্টেশনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন৷কিশোরগঞ্জ থেকে সাধারণ সম্পাদকের পদ চলে যাচ্ছে নোয়াখালীতে! আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে শীর্ষমহল থেকে এমন বার্তাই পাচ্ছেন কাউন্সিলররা৷ আর তা থেকেই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে, কে হচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির আগামী দিনের দ্বিতীয় শীর্ষ প্রধান নেতা, দলের সাধারণ সম্পাদক৷আর এ বার্তাকেই ‘চমক’ বলছেন দলটির কাউন্সিলররা৷কমপক্ষে ১০ জন কাউন্সিলর বলেছেন, নানা মাধ্যমে শীর্ষমহল হয়ে আসা বিশেষ বার্তা পেয়েছি৷ এখন অপেক্ষা কেবল ঘোষণার৷ আমরা আনন্দিত, আমরা খুশি’৷শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’- দলের এবারের সম্মেলনের সস্নোগান টেনে একাধিক নেতা সহাস্যে বাংলানিউজকে জানান, ‘কিছু কি খুঁজে পেলেন?এখানেও মহাসড়কের কথা রয়েছে৷ হা হা! উন্নয়নের মহাসড়ক৷ আর সড়কমন্ত্রী কে? আমাদের ওবায়দুল কাদের ভাই’৷এই অনত্ম:মিলও আর একটি আগাম বার্তা৷ তেমনটি হলে ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তারপর সভাপতিম-লীর সদস্য, পাশাপাশি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা নোয়াখালীর সনত্মান ওবায়দুল কাদেরই নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন৷ হতে যাচ্ছেন দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক’৷এমন প্রায় নিশ্চিত খবরে এখন উচ্ছ্বাস কাদেরের সমর্থকসহ আওয়ামী লীগে৷

তবে নিজে থেকে ওবায়দুল কাদের এখনো কিছু বলছেন না৷ আবার এই পদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আগে যেভাবে নিজের নামটি নাকচ করে আসছিলেন, তাও করছেন না৷উল্টো নেতাকর্মী, সমর্থক আর শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছার উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন কাদের৷নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে যদিও এ নিয়ে কোনো উচ্ছ্বাসের ছিঁটে-ফোটাও নেই৷ ওবায়দুল কাদের বন্ধ রেখেছেন ট্যাগিং অপশনও৷ কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে তাকে ট্যাগ করলেও তা দেখার সুযোগ নেই অন্য বন্ধুদের৷ কেবল কাদের ছাড়া৷তবে কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুক পেজসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এখন সরগরম৷কাদেরই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক- এমনটা নিশ্চিত হয়েই অনেকে অভিনন্দন আর শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন প্রিয় নেতাকে৷

‘সাধারণ সম্পাদক হতে চলেছেন- এমন জোরালো গুঞ্জনে নেতাকর্মী, সমর্থক আর শুভানুধ্যায়ীদের আগাম অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা কেমন লাগছে?’ – ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ফোনে এ প্রশ্ন করা হলে হলে সযত্নে এড়িয়ে যান তিনি৷তবে বরাবর তিনি যেভাবে এ পদের প্রার্থী হিসেবে নিজের নামটি নাকচ করে আসছিলেন, এবার কন্ঠে নাকচ করে দেওয়ার মতো শোনা যায়নি কোনো শব্দ৷যদিও গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস এ ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন, তিনি দলের জাতীয় সম্মেলনে কোনো পদেই প্রার্থী নন৷কাদের বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে আমাকে বিব্রতকর ও লজ্জায় পড়তে হয়৷ যখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার নাম আলাপ-আলোচনায় আসে, পত্রিকায় ছবি বের হয়, আমি ওমুকের প্রতিদ্বন্দ্বী- এটা আমাকে বিব্রত করে৷স্পষ্ট করেই বলছি, আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে প্রার্থী নই৷তবে ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ এ দর্শনেই এর মাঝে আরেক রাজনীতি খুঁজছেন অন্যরা৷ সেতুমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরাও বলছেন, নেতাকর্মী, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা আগাম ফোন ও ক্ষুদে বার্তায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন৷ তারাই ভাসিয়ে নিয়ে চলেছেন ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তাদের আবেগের তরী৷

Go to Feedback