mosiur_dbartaদক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান বিদু্যত্‍ চাহিদা মেটাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান এসেছে এ অঞ্চলের বিদু্যত্‍ ও জ্বালানি খাতের নীতি নির্ধারকদের এক কর্মশালা থেকে৷শুক্রবার ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে দুই দিনের এই কর্মশালা শুরু হয়, যাতে সার্কভুক্ত আটটি দেশের বিদু্যত্‍ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন৷ যৌথভাবে ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ইন সাউথ এশিয়া: কানেকটিভিটি থ্রো কো- অপারেশন’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (আইপেগ) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ইনস্টিটিউট৷কর্মশালার উদ্বোধনীতে প্রোসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব কানেকটিভিটি অ্যান্ড ট্রেডিং ইন পাওয়ার অ্যন্ড এনার্জি: এ রিজিওনাল অ্যান্ড ইন্টারনেশনাল পারসপাক্টিভ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়৷

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, জ্বালানি খাতের সাধারণ ভোক্তাদের সাশ্রয়ীমূল্যে নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যত্‍ সুবিধা দিতে হলে আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি বলয় গড়ে তোলা প্রয়োজন৷ এ ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতা থেকে বড় দেশগুলোর তুলনায় ছোট দেশগুলো বেশি উপকার পাবে৷বিদু্যত্‍, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনে বিদু্যত্‍ বা সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই৷ দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম গতিশীল অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ায় এ এলাকার জ্বালানি চাহিদা দিন দিন বাড়ছে৷

বিদু্যত্‍ ও জ্বালানি খাতের জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার সৃষ্টি করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিদু্যতের চাহিদা মেটানো যায় বলে মত দেন তিনি৷আইপেগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মুনীর খসরু বলেন, আঞ্চলিক বিদু্যত্‍ সহযোগিতার সমপ্রসারণের মাধ্যমে এ অঞ্চলে কার্বণ নিঃসরণ আট শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব৷ একইভাবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও পাকিসত্মানের মধ্যে সমন্বিত বিদু্যত্‍ সঞ্চালন ব্যবস্থা চালু করা গেলে এ অঞ্চলের মানুষ প্রতি বছর অনত্মত চার বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সুবিধা পেতে পারে৷এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ইনস্টিটিউটের ডিন নায়োকী ইয়োশিনো, এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ইউনাইটেড গ্রুপের বিদু্যত্‍ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মুবীন এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন৷