%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-3বেশ কিছুদিন ধরে মনটা ভালো না। প্রতিটা মুহূর্তে এক অজনা কষ্টে বিষণ্ণ থাকতাম।দিন দিনের মতো ঠিকি কেটে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিনা।বাড়ি থেকে বের হয়ে যখন রাস্তার দুপাশের মানুষগুলো দেখি তখন সৃষ্টিকর্তা কে ধন্যবাদ দিতাম অনেক খারাপের চেয়ে আমি অনেক ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজো বিষণ্ণ মন নিয়ে কলেজে এসেছি।রহিম স্যারের ফোন বেজে উঠলো। কথা শেষ করে বললেন সুবর্ণা ম্যাডামের (Dola Nath) মেজো বোন কে মেরে ফেলেছে।শুনেই কলিজাটা ধক্ করে উঠলো।স্যারকে আবার জিজ্ঞেস করলাম ওর নিজের বোন তো? যদি খবরটা ভুল শুনি তাহলে তো ভালোই হয়।রহিম স্যার বললেন,ওর বোন বললো।শিওর হবার জন্য সুবর্ণাকে ফোন দিলাম।সুবর্ণার হাউমাউ কান্নাই সব বলে দিলো ওর আদরের বোন দীপা এই দুনিয়াতে আর নেই। সাথে সাথে আমি আর Shahnaj Rahman ম্যাডাম রওনা দিলাম ঢাকা মেডিকেল হসপিটালের মর্গের দিকে।আমাদের রিক্সা যখন দোয়েলচত্বরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহা সম্মেলনে দেশ উন্নয়নের বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।ঠিক রাস্তার অপজিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহ হয়ে শুয়ে ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষবর্ষের ছাত্রী দীপা রাণি দেবনাথ।

%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a5-2দীর্ঘ নয় বছর প্রেম আর এক বছর নয় মাসের সংসারে দীপার শেষ পরিণতি হলো ভালোবাসার মানুষটির হাতে মৃত্যু!!! এটাই ভালোবাসা!? এমন হয় বুঝি ভালোবাসা!? যে মেয়েটার কাছে ভালোবাসার মানুষটাই ছিলো সব কিছুর ঊর্ধে সে মেয়েটাই কিনা শেষে ভালোবাসার মানুষের কাছে বলী হলো।প্রায় তিনঘণ্টা আমরা সেখানে ছিলাম।দীপার ভালোবাসার মানুষ নামক স্বামীর ছায়াটা ও দেখতে পেলাম না।শুধু তাই নয় সেই শশুড় বাড়ির একটা মানুষ ও আশেপাশে ছিলোনা ।মর্গে দীপার শবদেহ দেখে বুকের ভিতরটা যে কিভাবে কেঁদে উঠেছিলো সেটা শুধু আমিই জানি। ইচ্ছে করলেই ভালোবাসার মানুষকে দিনের পর দিন কষ্ট দেয়া যায়,ইচ্ছে করলেইয় ভালোবাসার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া যায়,ইচ্ছে করলেই ভালোবাসার মানুষকে সাতপাঁকে বেঁধে ঘরে তোলা যায় আবার ইচ্ছে করলেই সেই ভালোবাসার মানুষকে মেরে সুন্দর একটা নাটক সাজিয়ে সমাজের সম্মুখে উপস্থাপন করা যায়।আচ্ছা ভালোবেসে ছেলেরা ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারে এমন কেনো? মন চাইলো ভালোবাসলাম আবার মন চাইলো না মেরে ফেললাম ! মন চাইলো প্রতিশ্রুতি দিলাম আর মন চাইলো না সব সুন্দর ভাবে ভুলে গেলাম।

দীপার মৃত্যুর সাথে কি সব শেষ হয়ে যাবে? নাকি আরো কিছু অবশিষ্ট আছে? কিন্তু এমনো ভালোবাসা দেখেছি,একবারে মারে না। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে বা প্রতিমাসে একটু একটু করে তিলেতিলে ভালোবাসার মানুষকে মারে।মানুষটার ভিতরের সব কিছুই শেষ হয়ে যায় শুধু শ্বাসটা উঠানামা করে আর এতেই মানুষ মনে করে সে দিব্যি ভালো আছে।কোন মৃত্যুটা ভালো, একবারে মরে যাওয়া নাকি তিলেতিলে শেষ হয়ে যাওয়া।আচ্ছা যার জন্য মরে যাওয়া বা তিলেতিলে শেষ হয়ে যাওয়া সেই ভালোবাসার মানুষটা কি কখনো বোঝে?

Post by : Asma Leena 

প্রকাশিত সংবাদ ঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী দীপা রানী নাথের (২৫) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর কলাবাগান থানার কাঁঠালবাগানে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দীপা রানী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা কেউ বলতে পারেনি। পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দীপা গলায় ফাঁস দেন। তিনি ওই এলাকার সুব্রত চৌধুরীর স্ত্রী বলে জানা গেছে।

সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের সম্মতিতে দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। গতকাল বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে অভিমান করে দীপা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, দীপার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।