pic-monny

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মুন্নি আক্তার(১৪)। সে কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলার চাপাইর বিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। ২০১৬ ইং সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবককে আটক করেছেন। আটককৃতের বাড়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার এজগানা এলাকায়।

নিহতের স্বজনরা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে আরাফাত সরকার মুন্নিকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। এ ব্যাপারে আরাফাতের স্বজনদের কাছে বিচার দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেননি। এ নিয়ে আরাফাত মুন্নি ও তার বাবা শহীদকে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মুন্নিকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তার পরিবার। কিন্তু আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা থাকায় সে কয়েকদিন ধরে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় সে মুন্নিকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়।

সোমবার রাতে মুন্নিসহ তার পরিবারের সকলেই পাশ্বের বাড়ীতে জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে যায়। এসময় আরাফাত হোসেন কোন এক ফাঁকে মুন্নির ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। পরে মঙ্গলবার ভোরে মুন্নির গলায় ওড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর আরাফাত ঘর থেকে দৌড়িয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় নিহতের মা রেখা বেগম দেখে ফেলে। আরাফাতকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা চেষ্টা করলে সে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘরে গিয়ে মুন্নির গলায় ওড়না পেচানো মৃতদেহ বিছানার পড়ে থাকতে দেখে মুন্নির মা কান্নাকাটি শুরু করে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পুলিশের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে আরাফাত পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যা না আতœহত্যা। এছাড়া ঘটনা স্থল থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।