%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a7%87

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।তবে ভবনের নির্মাণ কাজে বাঁশের ব্যবহার দেখা গেলেও এতে আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে গণমাধ্যমের কাছে তারা এমন দাবি করেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনা যাই হোক; যেহেতু ভবনের ভেতর থেকে বাঁশ বেরিয়েছে সেহেতু তা তদন্ত করে দেখা হবে।রামেক হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান ডা. মোসাদ্দেক হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম ও তাদের একজন ভবন বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়েছে। তাদের তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান রফিকুল ইসলাম।প্রতিবেদন পেলে সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালে পরিচালক আরও বলেন, চার বছর থেকে ভবনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি বাঁশ দিয়েই করা হতো তবে ভবনটি এতদিনে ভেঙে পড়তো। এরপরও ভবনের তিনতলার লিফটের সামনের টাইলস উঠে বাঁশ বেরিয়ে এসেছে। তাই আর কোথাও এমন কোনো ফল্ট রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এজন্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা বিষয়টি তদন্ত হবে।এদিকে রাজশাহী গণপূর্তের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার মার্কস বিল্ডার্স ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। আর লিফটের কাজ করে প্রাণের আরএফল গ্র“প। তাদের দায়-দেনাও পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। এতদিন কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আর কথা হয়নি।

এখন ভবন থেকে বাঁশ বেরিয়ে আসার বিষয়টি সামনে আসায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে লিফটের সামনে মাত্র চার থেকে সাড়ে চার ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। পরিদর্শনের সময় বাঁশগুলোর সঙ্গে মূল ভবনের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি, বলেন নির্বাহী প্রকৌশলী।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বলা যায় এতে ভবন ধস বা ভেঙে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এরপরও সেখানে বাঁশ ব্যবহার না করে লোহার পাত বা স্টোন ব্যবহার করা যেত। তা কেন করা হয়নি সে বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হবে।

মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এ নিয়ে রাতে খবর প্রকাশের পর ভোরের মধ্যেই সেখান থেকে বাঁশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাঁশের জায়গাটা বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে। এর আগে গতকাল ভাঙা স্থানে প্লাস্টার করার দৃশ্য দেখা যায়। প্লাস্টার করা স্থান যেন না দেখা যায় সেজন্য প্লাস্টারের ওপরে আবার পুরনো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।

আর বাঁশের ওপরে পত্রিকা দিয়ে প্লাস্টার করা হয়েছিল। তবে তিনতলার লিফটের ফাঁক দিয়ে ওপরে ক্যামেরা ধরার পর চারতলার নতুন ভবনের লিফটের সামনের ফাঁকা স্থানেও বাঁশ দেখা গেছে। সেখান থেকে এখনও বাঁশ সরানো হয়নি।এর আগে গত ২০১২ সালের ১৭ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫শ’ হাজার শয্যার নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। এতে হাসপাতালের মোট শয্যা সংখা দাঁড়ায় এক হাজার ৩০টিতে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। চারতলা এ ভবনটি নির্মাণ করা হয় রামেক হাসপাতালের পুরনো ভবনগুলোর ঠিক মাঝখানে।