us-election-2016আজ মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং পরদিন রাত ৮টায় (বুধবার সকাল ৮টা) শেষ হবে। সব জরিপেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিলারি রডহাম ক্লিনটন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৪-৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। ওদিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেংকারির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প এফবিআইয়ের এ রকম প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, এফবিআই আগেরবারের মতোই তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে দোষমুক্ত করে অন্যায় করেছে। এ ছাড়াও, ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিল করে দেবেন। ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি ধাপ্পাবাজি বলে মনে করেন। বিবিসি, সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান, দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপ

সিএনএনের সর্বশেষ জরিপ বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে হিলারিই এগিয়ে। ৪৭ শতাংশ ভোটার হিলারিকে চান। আর ট্রাম্পকে চান ৪২ শতাংশ। ইলেক্টোরাল জরিপেও হিলারি এগিয়ে। ৫৩৮ ইলেক্টোরাল ভোটে ২৬৮টিই হিলারির পক্ষে, আর ট্রাম্পের পক্ষে ২০৪টি।

রিপাবলিকানদের সমর্থক ফক্সের জরিপে অবশ্য হিলারি-ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান মাত্র দু’পয়েন্ট। ৪৫ শতাংশ ভোটারের রায় হিলারির পক্ষে, ট্রাম্পের পক্ষে ৪৩ শতাংশ।

অন্যদিকে, জরিপ সংস্থা ন্যাট সিলভারের হিসাবে, হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ের সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ। মাত্র ৩৫ শতাংশ সম্ভাবনা ট্রাম্পের।

স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি কাদা ছোড়াছুড়ি হলেও জনমত জরিপ অনুযায়ী দুই প্রার্থীই কোনো না কোনোভাবে ভোটারদের কাছে অপছন্দের। অনেকে হিলারিকে বিশ্বাস করেন না। আর অনেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনে করেন অভিবাসন বিরোধী, মুসলিম বিদ্বেষী।

অনেকে আবার ট্রাম্পকে হিলারির চেয়ে অনেক বেশি মিথ্যা বলার জন্য দায়ী করেন। তারপরও মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নির্বাচনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন এবং এভাবে নির্বাচনকে তার পক্ষের আন্দোলনেও রূপ দিয়েছেন।

মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

এফবিআইয়ের পরিচালক বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে ই-মেইল ব্যবহার করা নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, এই নিয়ে তদন্তের পর দেখা যাচ্ছে যে, হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করাটা উচিত হবে না।

কংগ্রসেম্যানকে পাঠানো এক চিঠিতে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি বলেছেন, ঘটনার পর্যালোচনা শেষ করেছে এফবিআই। তবে, সেখানে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে, এই ঘটনা নিয়ে কোমির আগের বক্তব্যই অপরিবর্তনীয় রয়েছে।

গত জুলাই মাসে কোমি বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে সংবেদনশীল তথ্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিসেস ক্লিনটন অসাবধান ছিলেন কিন্তু অপরাধী নয়।

এফবিআই প্রধানের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার যোগাযোগ শাখার প্রধান ডেনিফার পালমিয়েরি। ডেনিফার পালমিয়েরি বলেছেন, ‘হিলের কাছে পাঠানো ডিরেক্টর কোমির চিঠিটা আমরা দেখেছি। আমরা আনন্দিত। গত জুলাইয়ে তিনি যে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন সেটিই পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তিনি এটাই পাবেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই ব্যাপারটির একটি সমাধান হলো’।

ওদিকে, নতুন পাওয়া ই-মেইল তদন্তে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে এফবিআইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই প্রার্থীর অভিযোগ, গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই আগের বারের মতো আবারও ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীকে দোষমুক্ত করে অন্যায় করেছে।

ডেট্রয়েটের শহরতলীতে এক নির্বাচনী প্রচারণা র‌্যালিতে ট্রাম্প দাবি করেন, এতো অল্প সময়ে নতুন পাওয়া সাড়ে ৬ লাখ ই-মেইল পরীক্ষা করা এফবিআইয়ের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। হিলারিকে কারচুপির মাধ্যমে রক্ষা করা হচ্ছে বলে আগের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন তিনি।

মিশিগানের স্টার্লিং হাইটসে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারি দোষী, সেটা তিনি জানেন, এফবিআই জানে, জনগণ জানে এবং ৮ নবেম্বর ব্যালট বাক্সে এর ন্যায়বিচার হবে কিনা তা এখন আমেরিকান জনগণের হাতে।’

‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যগুলোতে কে এগিয়ে?

আর মাত্র একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দি¦তা হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যেগুলোর মধ্যে অধিকাংশের রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি আছে, এসব অঙ্গরাজ্যগুলোতে সাধারণত যে দলের প্রভাব বেশি সেই দলের প্রার্থীই বিজয়ী হন। যেমন, সাধারণত টেক্সাসকে রিপাবলিকান প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য ধরা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় রিপাবলিকান প্রার্থী টেক্সাসে প্রচারণা চালিয়ে তার অর্থের অপচয় করেন না, তিনি এখানে জিতবেন বলেই ধরে নেন। অপরদিকে, ক্যালিফোর্নিয়াকে ডেমোক্রেট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এখানে এ দলটির প্রার্থীই জিতবেন বলে ধরে নেওয়া হয়।

তবে এ ধরনের অঙ্গরাজ্যগুলো ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে কোনো দলেরই সুস্পষ্ট প্রাধান্য নেই, এসব অঙ্গরাজ্যগুলোকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা প্রচলিত কথায় ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অতীতের নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা যে প্রার্থীর দিকে ঝুঁকে পড়েন, সেই প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ১৩টি অঙ্গরাজ্যকে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ হিসেবে শনাক্ত করেছে বিবিসি।

এসব অঙ্গরাজ্যগুলো হল, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, মিশিগান, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া এবং উইসকনসিন।

৬ নবেম্বরের সর্বশেষ জরিপানুযায়ী এসব রাজ্যগুলোর মধ্যে সাতটিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ও ছয়টিতে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি এগিয়ে আছেন।

ট্রাম্প এগিয়ে আছেন- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, আইওয়া, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ওহাইওতে। অপরদিকে হিলারি এগিয়ে আছেন- কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিনে।

তবে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সংখ্যার হিসেবে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও হিলারির এগিয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটার সংখ্যা বেশি, তাই এসব রাজ্যগুলোতে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যাও বেশি।

রোববারের (৬ নবেম্বর) এ চিত্র মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর), ভোটের দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে এবং দুই প্রার্থী সারা দেশজুড়ে যে যে অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন, সেখানে বিজয়ী হলে, হিলারি ক্লিনটনই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

মুসলিম ভোট ব্যাংক বদলে দিতে পারে মার্কিন নির্বাচনের অঙ্ক

দু’সপ্তাহ আগে ডেমোক্র্যাটরা খিজির খানকে নিয়ে একটি দারুণ বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞাপনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে খিজির খান প্রশ্ন রাখেন, আপনার আমেরিকায় আমার সন্তানের কি কোনো স্থান আছে?

ইরাক যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের (২৭) বাবা খিজির খান। পাকিস্তানি মুসলিম খিজির খান কয়েক মাস আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কনভেনশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার ছেলের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে মুসলিমবিদ্বেষী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুলোধোনা করেছিলেন। বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পর খিজির খান মার্কিন রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন। দক্ষিণ এশিয়ান মার্কিনিদের কাছে তিনি এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘খিজির আঙ্কেল’।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বাজে প্রার্থী’ আখ্যা দিয়ে খিজির খান জানান, ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে বক্তৃতা ও তার সূত্রধরে ট্রাম্পের সমালোচনার শিকার হওয়ার পর সারা দেশ থেকে মানুষ তাকে উৎসাহিত করেছে। সাধুবাদ জানিয়ে তিনি ও তার স্ত্রীকে ‘উদার আমেরিকার প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন অনেকে।

অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও খিজির খানের এতখানি গুরুত্ব পাওয়া সম্ভব হত না। সেই বছর বারাক ওবামার একটি সমাবেশে হিজাব পরা দুই মহিলাকে মঞ্চের কাছে বসতে বাধা দেয় এই ডেমোক্র্যাট স্বেচ্ছাসেবকরাই। বারাক ওবামার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে চলা ‘মুসলিম গুজব’ ঠেকাতেই এমনটা করা হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই ওবামাকে এটি সহ্য করতে হয়েছে।

২০০৩ সালে বুশ ও ২০০৮ সালে ম্যাককেইনের প্রচারের জন্য বড় অংকের তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন মুসলিম ফর আমেরিকা সংস্থার কর্তারা। এবার অধিকাংশই হিলারির পক্ষে। কারণ একটাই, ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুসলিম ভোটের শতকরা ৭০ ভাগ পাবেন হিলারি। ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতি মার্কিন মুসলিমদের আরো বেশি করে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

যদিও মুসলিমরা মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ, তবু ভোটের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই বিবেচিত। মার্কিন মুসলিমদের বেশির ভাগের বাস মিশিগান, ওহাইয়ো, ভার্জিনিয়া কিংবা ফ্লোরিডার মত দোদুল্যমান ভোটের রাজ্যগুলিতে। একটি মুসলিম পর্যবেক্ষক সংস্থার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১২ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা শতকরা ৩০ ভাগ বেড়েছে। এই মুসলিম ভোট ব্যাংক সহজেই এই অঙ্গরাজ্যগুলিতে নির্বাচনী লড়াইয়ের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

নির্বাচনে মুসলিম ভোটাররা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরাও। এবারই প্রথম মুসলমানরা একটি গ্রুপ হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে আবির্ভূত হয়েছেন বলে মনে করেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল ইকোনমি বিভাগের অধ্যাপক শারিন হেলোরান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী বক্তব্যের পর মুসলিম ভোটাররা আগের চেয়ে অধিক সচেতন হয়েছেন। বিশেষ করে এবারই প্রথম আমেরিকার মসজিদগুলি ভোটারদের উদ্ধুদ্ধ করতে ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয় ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করেই মুসলিম কমিউনিটির নেতারা ক্ষান্ত হননি। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখছেন মুসলিম কমিউনিটির নেতারা।

জলবায়ু চুক্তি বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিল করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। জলবায়ু উষ্ণতা বিষয়ক প্যারিস চুক্তি সারাবিশ্বে আইনে পরিণত হওয়ার আগে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

জলবায়ু উষ্ণতা বিষয়ক মরক্কোতে একটি দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে জলবায়ু উষ্ণতা রোধ বিষয়ক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টিকে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে মনে করেন ট্রাম্প। আর সে কারণেই এ ধরনের কোন চুক্তিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে স্বাক্ষর করবেন না বলেও জানান তিনি। উল্টো শপথ করে বলেন, এ ধরনের যে কোন চুক্তি থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিরত রাখবেন।

প্রেসিডেন্ট হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কি কি কাজ করবেন, তা ফলাও করে প্রচার করেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তার এ সব প্রচার কখনও কখনো তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে বিষয়টিকে কখনই পাত্তা দেননি ট্রাম্প। উল্টো নিজের যুক্তির পক্ষেই অবস্থান করেছেন।

এখনো নারী বিষয়ে অতীতে করা নিজের মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অভিবাসী, মেক্সিকোর-আমেরিকান বা মুসলিমদের নিয়ে করা কোন মন্তব্যর জন্য ক্ষমা চাননি তিনি। উল্টো বলেছেন, আমেরিকা তার আগের গৌরব ফিরে পেতে চাইলে তার দেখানো পথেই চলতে হবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প।

লোপেজের পর হিলারির সমর্থনে কেটি পেরির পারফর্ম

হিলারি ক্লিনটন তার নির্বাচনী প্রচারণায় কখনোই কোন তারকা ছাড়া যাচ্ছেন না। বরং হিলারির নির্বাচনী প্রচারণায় সবসময়ই তারকাদের সমাবেশ ঘটে। আর এই তারকাদের ভক্তদের সাহায্যে হিলারি তার ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থন বাড়াতে চান।

ফিলাডেলফিয়ায় এমনই একটি তারকা বহুল নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠান করলেন হিলারি। নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিপ হপ খ্যাত তারকা কেটি পেরি।

গত শুক্রবার আরেকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারকা জেনিফার লোপেজ। তাকে দেখার জন্য প্রায় ১০ হাজার ভক্ত সেখানে উপস্থিত হয়। যা হিলারির দলের জন্য সমর্থন বাড়াতে সাহায্য করবে।