2000px-বাংলাদেশ_নির্বাচন_কমিশন

শেষ ভালো যার,সব ভালো তার’ প্রচলিত এই প্রবাদটির সার্থকতা খুঁজে পেতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) আসন্ন নির্বাচনকেই টার্গেট করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।নিজেদের মেয়াদে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগে বিতর্কিত হয়ে পড়ে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ফেব্র“য়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই নিজেদের মেয়াদের শেষ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে মান বাঁচানোর চেষ্টাটুকু করতে চায় কমিশন।

এদিকে নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে দেশের বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি মাঠ দখলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকারের অন্যসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকেও নিজেদের আয়ত্তে নেয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। আর মাঠের রাজনীতিতে মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারা বিএনপির টার্গেট নাসিকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের জনসম্পৃক্ততা প্রমাণ করা। এটিকে টিকে থাকার লড়াই বলেও মনে করছে দলটি।

নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কোন পথে হাঁটছে, এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কমিশন পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর কিছুটা বাহবা পেয়েছিল, বিশেষ করে ভোট গ্রহণ ও ফলাফলের বিচারে। কিন্তু প্রাক-ভোট যে নির্বাচনী পরিবেশ, সে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের খুব বেশি প্রয়াস দিতে দেখা যায়নি। এসব নির্বাচনে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকাই ছিল মুখ্য। আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘনের পরও নির্বিকার থেকেছে নির্বাচন কমিশন। এমনও খবর প্রকাশিত হয়েছে যে আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কমিশনের সাপোর্ট বা সহযোগিতা তো পাননি বরং উল্টো অনেকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিরস্কৃত হয়েছেন।

গাজীপুরের ঘটনা নিয়ে কমিশনে তোলপাড়ের বিশদ বিবরণ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরও নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় রাখতে চেয়েছে সাধারণ জনগণ। তবে ইদানীং নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সংসদীয় নির্বাচনের নিয়ামক আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ বা জবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ ড়ভ চবড়ঢ়ষবং ঙৎফবৎ (জচঙ) সংস্কারের নামে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে, তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

এ টি এম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন মেয়াদ শেষ করার আগে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার পর স্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার জন্য আরপিওতে বেশ কিছু ধারার সংযোজন ও বিদ্যমান ধারাগুলোর সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেসব প্রস্তাবের ধারে-কাছেও যায়নি বর্তমান কমিশন। উপরন্তু ২০০৮ সালে সংস্কারের অংশ হিসেবে আরপিওতে সংযোজিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারা যেগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতকে শক্তিশালী করার কথা, একতরফাভাবে বাদ দিয়ে আরপিও পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে তারা। এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি হলো আরপিওর ৯১ই। এতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত গুরুতর অসদাচরণ অথবা উপর্যুপরি আচরণবিধিসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইন অথবা নির্বাচনী প্রচারণা ইত্যাদিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দায়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রার্থিতা বাতিলের নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারায় প্রার্থীর শাস্তি হলেও কেবল দুজন প্রার্থীর একজন বাদ পড়লে ওই আসনের জন্য পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে সাজাপ্রাপ্ত প্রার্থীর বদলে অন্য প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া, যাতে কোনো দল নির্বাচন থেকে বাদ না পড়ে। এই সংযোজন করা হয়েছিল বিএনপির সুপারিশে। এখানে উদ্ধৃত করা হয়েছিল আরপিওর ধারা ১৭, যেখানে কোনো বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনে পুনঃ তফসিলের কথা রয়েছে।উল্লিখিত ধারা ৯১(ই) আরপিও অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালে এম এ সাঈদের নির্বাচন কমিশনের সময়। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ দুটি ধারাই ওই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করলেও বড় দলগুলোর চাপে, বিশেষ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলের চাপে ধারাটি বাতিল এবং নিবন্ধনের ধারাটিকে ঐচ্ছিক করা হয়। ওই সময়ে নির্বাচন কমিশন এ ধারাটি যুক্ত করতে পারেনি, যা ২০০৮ সালে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ধারা ১৯-এর সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। পরে বিএনপির আপত্তি আমলে নিয়ে ধারা ১৭-এর সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। ধারা ৯১(ই) সমগ্র আরপিওতে একমাত্র ধারা, যা নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনী প্রচারণায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার শক্তি জুগিয়েছিল। পরে অনুরূপ ধারা প্রায় সব স্থানীয় নির্বাচনী আইনেও সংযোজন করা হয়েছিল। এসব ধারা অপরিবর্তিত অবস্থায় বর্তমান সরকার এবং সংসদ পাস করে আইনে পরিণত করে। আইনে পরিণত করার সময় প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থাপন বা সংযোজন-বিয়োজন করা হয়নি।এ ধারা প্রয়োগ না হলেও এর অস্তিত্বের কারণে প্রয়োগের মতো পরিস্থিতি, জাতীয় সংসদ থেকে ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন পর্যন্ত ২০০৮ এবং পরবর্তী সময়ে যত নির্বাচন হয়েছে, উদ্ভব হয়নি। অথচ এর বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছিল অতীত নির্বাচনগুলোতেও।

রাজনৈতিক ও নির্বাচন বিশ্লেষকরাও বর্তমান ইসির শেষ আয়োজনকে ঘিরে আশাবাদী। তাদের মতে, নাসিক নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোটের লড়াইয়ে নির্বাচন কমিশনও লড়াই করবে নিজেদের ইমেজ উদ্ধারে। তারা বলছেন, ইসির মান বাঁচানোর প্রচেষ্টাটুকু শেষ পর্যন্ত যদি থাকে তবে নাসিকের আসন্ন নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যেমন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে তেমনি সরকারি দল ও বিএনপি জনগণের কাছে তাদের কার কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সেই জরিপ করতে পারবে। যা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছাতে দুই দলকেই সহায়তা করবে।

এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে ১৪ নভেম্বর এ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ২০১১ সালের অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই নেতা সেলিনা হায়াৎ আইভী ও একেএম শামীম ওসমান প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানকে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হন আইভী। সে সময় বিএনপি নারায়ণগঞ্জে ভোট বর্জন করেছিল। তবে দলীয় প্রতীকে হওয়ায় এবারের ভোটে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ঢাকার নিকটবর্তী এ সিটির ভোট জমে উঠেছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু করে নিজেদের ইমেজ কিছুটা হলেও ফেরাতে চাইছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ইসির ভূমিকা নিয়ে সব মহলেই প্রশ্ন ওঠে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্য কারচুপি ও সহিংসতার পরে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে ইসির সক্ষমতা ও সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নারায়ণগঞ্জ সিটির পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে জেলা পরিষদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। তাই এই ভোট নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। কারণ নির্বাচনের ভোটারদের নির্বাচিত হওয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সবার দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জ সিটির ভোটে। ইসিও তাই এই ভোটকেই টার্গেট করেছে নিজেদের ইমেজ উদ্ধারে।ইসি কর্মকর্তারা জানান, এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দিয়েছেন কমিশন। তা ছাড়া ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় এই সিটির ভোটে মিডিয়ার দৃষ্টি বেশি থাকবে, তাই সবাই সতর্ক। এর আগের বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণে ইসি কর্মকর্তাদেরও জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর ইসি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই নসিক ভোটকে ঘিরে এবার কর্মকর্তাদের বিষয়ে আগেই সতর্কতা অবলম্বন করছে কমিশন। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে কর্মকর্তাদের অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে ইসি সচিবালয় সচেষ্ট থাকবে। আইনে যেমন রয়েছে কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, নির্বাচন নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। তা ছাড়া নানা জনের নানা মত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা সব সময় সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের চেষ্টা করি। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সম্ভবত আমাদের মেয়াদের শেষ নির্বাচন। এটা সুষ্ঠু করতে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

২৮ ডিসেম্বর বুধবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর।

গত রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এসময় নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক ও আবু হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জেলার ভোটার হতে হবে।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ নির্বাচন প্রতিটি জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক জেলায় ১৫টি করে বুথ থাকবে এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার ও রিটানিং অফিসার। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটই দিতে পারবেন, প্রার্থী হতে পারবেন না। আর বাংলাদেশের ২৫ বছর বয়সী যেকোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রায় ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এরাই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে। প্রতিটি ইউপিতে জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ ভোটার ১৩ জন। এই হিসেবে সাড়ে ৪ হাজার ইউপির ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ৫০০ জন। এ ছাড়া ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে তিন জন করে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।