Rescue workers pass a strecher with an injured passenger out of the wreckage after two trains collided near Multanভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুখরাইয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় সোমবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬  জনে দাঁড়িয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শনিবার দিবাগত ভোররাত তিনটার দিকে কানপুর থেকে ১শ’ কিলোমিটার দূরে পুখরাইয়া এলাকায় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, লাইনচ্যুত বগিগুলো থেকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

স্থানীয় সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। এছাড়া নিহতদের সবার বিশেষত যেসব লাশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে তাদের পরিচয় সনাক্ত করা খুবই কঠিন। জেলা পুলিশ প্রধান জ্যাকি আহমেদ বলেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলোর বেশিরভাগ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে অনেকে বিনা টিকেটের যাত্রী ছিলেন। ফলে যাত্রীর প্রকৃত সংখ্যা বলা প্রায় অসম্ভব। তবে দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আঞ্চলিক রেলওয়ে নেটওয়ার্কের এক মুখপাত্র জানান, ঠিক কত জন যাত্রী ট্রেনে ছিলেন তা বলা কঠিন। তবে এ সংখ্যা অবশ্যই দুই হাজারেরও বেশি হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমাচ্ছিলেন। উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা দলজিৎ সিং চৌধুরী গতকাল রোববার জানান, ভারী যন্ত্র দিয়ে দুমড়ে যাওয়া বগিগুলো কেটে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। আরও যাত্রী আটকে আছেন কি না, তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। টেলিভিশন ফুটেজে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগিগুলোকে একটির ওপর আরেকটি উঠে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনায় আহত কয়েকশ’ মানুষ কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজও স্বজনদের খুঁজতে অনেক মানুষ দুর্ঘটনাস্থলে ভীড় করছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রেললাইনের ত্রুটির কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে।