high-court

দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ের সাজা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রুল খারিজ করেছে আপিল বিভাগ।রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দিয়েছে।দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে নিম্ন আদালতে তিন বছরের কারাদ- পাওয়া ইকবালের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আইনের দৃষ্টিতে এখন পলাতকÑতাদের গ্রেপ্তার করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।আদালতে ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও কামরুল হক সিদ্দিকী।

এইচ বি এম ইকবাল বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ওই ব্যাং কের একজন পরিচালক। আরেক ছেলে মঈন ইকবাল ও মেয়ে নওরীন ইকবালও এক সময় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যক ছিলেন।বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে ইকবাল, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক। পরেরবছর ১১ মার্চ বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায়ে ইকবালকে ১৩ বছরের কারাদ- এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে। তার স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদ- এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদ- দেয়া হয়।

ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ইকবালের ভাইয়ের করা আবেদনে হাইকোর্ট এ মামলায় জজ আদালতের দেয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে ওই সাজা কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে।বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’বিবেচনায় বা অন্যব কারণে বাতিল বা খারিজ হয়ে যায়। ইকবালের আবেদনে ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে এ মামলা থেকে খালাস দেয়।হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলেও ২০১৫ সালে আদালতকে জানায়, তারা আর মামলা চালাতে চায় না। এরপর দুদক দীর্ঘদিন চুপচাপ থাকলেও সম্প্রতি ইকবালের পরিবারের সদস্যাদের সাজা স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দুদকের আবেদনটি গতি পায়।