জীবন বাজীর স্বাধীনতা

স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা
দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে
রক্ত নদী পেরিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা।
অস্তিত্ব রক্ষার্থে ন’মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে
একাত্তরের ডিসেম্বরের ষোল তারিখ
রেসকোর্স ময়দানে নতুন সূর্য উঠেছিলো
যা বাঙালির একান্ত সম্পদ।
এ সম্পাদে বারবার হানা দিয়েছে গুপ্তচরেরা
কিন্তু পারেনি । আমরা বারবার জেগে উঠেছি।
প্রত্যক্ষ Ñ পরোক্ষ অপশক্তি রুখতে
আমরাও প্রস্তুত আছি।
আমরা আমাদের ভূমিকে ভালোবাসি মায়ের মতো;
আমরা সহোদরের মত বসবাস করি একই মায়ের কোলে;
আমাদের সূর্য চিরকাল আলো দেবে
লাল সবুজের পতাকা উড়বে
যদিবা জীবন রাখতে হয় বাজী।

বাংলাদেশ

স্বাধীনতা স্পর্শমণি
জীবনের স্বর্ণখনি
একটু খানি পরশ নিয়ে
জীবনটা ভরি।
বাঙালির স্বাধীনতা
এই মাটি এই দেশ
ভালেবাসি অশেষ
আমার বাংলাদেশ।

সমৃদ্ধিময় বাংলাদেশের স্বপ্নে

একটি রঙিন স্বপ্ন নিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় পুরো
সেই ভয়াল দিন একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছিলাম
স্বপ্ন পুরণ হয়েছিলো তিরানব্বই হাজার পাক বাহিনী
ষোল ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমার্পণ করেছিলো;
সেই খুশির দিন অদ্বিতীয় যা অমলিন।

এখন স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জীবন যায় যায়
আধুনিক নবপ্রজন্ম Ñ স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস পড়ে!
এখন ঘুষবিহীন চাকুরী মরিচীকার মত অধরা!
তির বছরের শিশু ধর্ষিত হচ্ছে!
এখন বাটপার চোরের হাতে জিম্মি স্বদেশ
এখনো আগুনে পুড়ে মরতে হয়
যশোরের পিকলু ও তার মেয়ে মায়শাকে।
এখনও বধ্যভূমি হয় রাস্তায়!
গাছ কেটে আটকানে হয় বাঙালির জয়রথ।
মাটির মানুষের শাসনের ভার হাতে নিয়েছে
বিলবোর্ড , প্যানার সমাজ সেবকেরা।
শাসনঘরে ব্যবসায়ীদের পিল বিক্রির আইন পাশ হচ্ছে!
এই আমার স্বদেশÑ এই আমার স্বাধীনতা Ñ এই আমার স্বপ্ন।
তবুও এখনো ঘুম থেকে জাগি
সমৃদ্ধিময় বাংলাদেশ দেখবো বলে।

আমার গর্ব : বাংলাদেশ

আকাশে উড়ে রঙিন ঘুড়ি
দুরন্ত কৌশরে দৌড়াদৌড়ি
মায়ের আঁচলে স্বপ্নজুড়ে
আমরা আছি মহাসুখে।
সার্বভৌম বাংলাদেশ
ভালোবাসি অশেষ
এমন দেশটি আমার আছে
মানচিত্রে বদ্বীপ গর্ববেশে।

তারিখ: ০২/১২/২০১৬ (পাঁচপোতা, যশোর)
মুস্তাক মুহাম্মদ
কারুকাজ, কেশবলাল রোড, যশোর